১৪ আগ, ২০১৪

মৌসুমী রায় (ঘোষ)



গুচ্ছ কবিতা


()হাত বাড়িয়ে দাও
রুক্ষ মরুভুমির পথে
চলতে চলতে তোমায়
দেখলাম| মরিচীকা কিনা
বুঝিনি| প্রবল উত্‍সাহে
খরখরে ঠোঁট শুকনো
জিভ দিয়ে ভিজিয়ে
দৌড়তে থাকলাম ঊর্ধ্বশ্বাস|
আমার ক্লান্ত পিপাসার্ত শরীরে
শক্তি জোগাচ্ছিলো তোমার
অবয়ব| ফুরফুরে বাতাসে
উড়ন্ত তোমার পোশাক
আমাকে স্নিগ্ধতা দিচ্ছিলো|
পেলব পরশ ছিলো তোমার
ঠোঁটের কোনের হাসিতে|
দু-হাত বাড়িয়ে আমাকে
ডাকছিলে তুমি|

আমি ছুটছি নিশিদিন
দিশাহীন তোমার বাড়ানো
হাতের ছোঁয়া পেতে|

(২)হয়তো আছে

এখনও হয়তো থাকতে
পারে কেউ|
ধ্বংসের মাঝে কোথাও
হয়তো আছে
জীবনের স্পন্দন|
বুকের ধুকপুকুনি|
হয়তো আছে কোথাও
কোনো আশা
কংক্রীটের স্তুপের নীচে
চাপা পড়ে,
সাহায্যের অপেক্ষায়|
যা তাকে হ্যাঁচকা টানে
আসন্ন মৄত্যুর দোরগোড়া থেকে
ফিরিয়ে আনবে আবার
জীবনের মাঝে|
হয়তো আছে
কোনো এক অর্ধমৃত প্রাণ
আর সাহায্যের কোনো হাতও|

(৩)সমুদ্র-নারী

সমুদ্রে দাঁড়িয়ে
বলে চলেছে অনর্গল|
হাত নেড়ে| নৃত্যের ভঙ্গী|
ঘুরে ঘুরে| সমুদ্র মঞ্চে|
সাদা, কুঞ্চিত, ফেনিল
চুলের রাশি|
ছড়িয়ে সমুদ্রের বুকে|
ঢেউয়ের মাথায়-মাথায়|
উঠছে-পরছে|
ছুটে, নেচে
ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে
পাড়ের বালুকা|
কিছু সাদা চুল
ছিঁড়ে থাকছে
বালি জড়িয়ে|

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন