১৪ আগ, ২০১৪

অব্যয় অনিন্দ্য



গুচ্ছ কবিতা

()ব্যারোমিটার

ভালবাসি কতটুকু মাপতে চাইতেই দুঃখটা স্কেল হয়ে গেল; একটা নির্ঘুম রাত বুকের ধরফরের ইডিওগ্রামে এঁকে দিল - ‘বনমালী তুমি, এইজনমেই হইও রাধা

একটা সান্ত্বনা ইডিওগ্রামটার ব্যাখ্যা নিয়ে এল সত্যি সত্যি ভালবাসলে নাকি বেদনার গতি আলোর চেয়ে বেশী হয় ফ্রি ফ্রি অটোআপডেট হতে থাকে রাধার বারোমাসি; সাক্ষ্য দিতে কান্না টুইংকল করে অন্ধকার আকাশে।   

ভালবাসার কথায় এতএত দুঃখের পিংপং খেলার বিরতির সময় সুখেরও দেখা মিলল ও রঙ মেখে ঝুলে ছিল ফেইসবুকে - লাইকের ঠোঁটে শুশুক হয়ে গেছে ভার্চুয়াল প্রচ্ছদে; শুধু কমেন্টর ইশারায় ডুবছে আর ভাসছে প্রেমের বায়বীয় সুখ অথবা বায়বীয় প্রেমের সুখ।  

() ভাঁপা-পিঠাবতী 

পিঠাবতীর বুকের ধুঁয়া ঠিকসন্ধ্যায় টেনে আনে লোকটাকে  
তারপর পিঠার ধুঁয়া জিভ আর মনকে ভরশুন্য করে
দুটো ভিন্ন স্বাদ লোকটাকে ভাসাতে থাকে অনেকক্ষণ।    

পিঠাবতী বোঝে সবই

তাঁর বুকের ভাঁপ পিঠার নামে;
হৃদপিণ্ডের ছিদ্র পিঠার গায়।   

ঝিনুকের খোলসটাকে চেটেপুটে গেল কত শিকারী
মুক্তা কেউ চায়নি কোনদিন। 
এখন বুকের মুক্তা পিঠা হয়ে মানুষের মুখে লালাসিক্ত হয়। 
কিছু মুক্তা বস্তিভাড়া, বাচ্চার সেরেলাক, নুন-তেল ...
বাকিটা বেজন্মা স্বামীর উপপত্নীর ফেস পাউডার হয়ে যায়।

একদিন টিভির পর্দা দেখাচ্ছিল
সিডনীর এশীয় পিঠা উৎসবের ছবি -
জিরো ফিগারের কারিনা পিঠা বানাচ্ছে নিকোল কিডম্যানের সাথে।
হায়! সেই পিঠার ধুঁয়ায়ওতো কেউ মুক্তা খুঁজছে না 
খোসা চেটেই পৃথিবীসুদ্ধ লোক বাকবাকুম করছে। 


তাড়িয়ে কী হবে যদি ওই নতুন সান্ধ্যকুটুম মুক্তান্বেষী হয়!

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন