গুচ্ছ কবিতা
(১)ব্যারোমিটার
ভালবাসি কতটুকু
মাপতে চাইতেই দুঃখটা স্কেল হয়ে গেল; একটা নির্ঘুম রাত বুকের ধরফরের
ইডিওগ্রামে এঁকে দিল - ‘বনমালী তুমি, এইজনমেই হইও রাধা’।
একটা সান্ত্বনা
ইডিওগ্রামটার ব্যাখ্যা নিয়ে এল – সত্যি সত্যি ভালবাসলে নাকি বেদনার গতি
আলোর চেয়ে বেশী হয় – ফ্রি ফ্রি অটোআপডেট হতে থাকে রাধার
বারোমাসি; সাক্ষ্য দিতে কান্না টুইংকল করে অন্ধকার
আকাশে।
ভালবাসার কথায়
এতএত দুঃখের পিংপং খেলার বিরতির সময় সুখেরও দেখা মিলল – ও রঙ মেখে ঝুলে ছিল ফেইসবুকে - লাইকের ঠোঁটে – শুশুক হয়ে গেছে ভার্চুয়াল প্রচ্ছদে;
শুধু কমেন্টর
ইশারায় ডুবছে আর ভাসছে প্রেমের বায়বীয় সুখ অথবা বায়বীয় প্রেমের সুখ।
(২)
ভাঁপা-পিঠাবতী
পিঠাবতীর বুকের
ধুঁয়া ঠিকসন্ধ্যায় টেনে আনে লোকটাকে
তারপর পিঠার
ধুঁয়া জিভ আর মনকে ভরশুন্য করে
দুটো ভিন্ন
স্বাদ লোকটাকে ভাসাতে থাকে অনেকক্ষণ।
পিঠাবতী বোঝে
সবই –
তাঁর বুকের ভাঁপ
পিঠার নামে;
হৃদপিণ্ডের
ছিদ্র পিঠার গায়।
ঝিনুকের
খোলসটাকে চেটেপুটে গেল কত শিকারী –
মুক্তা কেউ
চায়নি কোনদিন।
এখন বুকের
মুক্তা পিঠা হয়ে মানুষের মুখে লালাসিক্ত হয়।
কিছু মুক্তা
বস্তিভাড়া, বাচ্চার সেরেলাক, নুন-তেল ...
বাকিটা বেজন্মা
স্বামীর উপপত্নীর ফেস পাউডার হয়ে যায়।
একদিন টিভির
পর্দা দেখাচ্ছিল
সিডনীর এশীয়
পিঠা উৎসবের ছবি -
জিরো ফিগারের
কারিনা পিঠা বানাচ্ছে নিকোল কিডম্যানের সাথে।
হায়! সেই পিঠার ধুঁয়ায়ওতো কেউ মুক্তা খুঁজছে
না
খোসা চেটেই
পৃথিবীসুদ্ধ লোক বাকবাকুম করছে।
তাড়িয়ে কী হবে – যদি ওই নতুন সান্ধ্যকুটুম মুক্তান্বেষী
হয়!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন