৪ ডিসে, ২০১৩

মুক্তগদ্য - প্রিয় দীপ

দ্বারোদঘাটন
প্রিয় দীপ


দহন নির্মূলের কন কনে হাওয়ায় , যেন হেমন্তের বনেদিয়ানি উল্লাস। আহ্লাদি কুটিপনায় কখনো নুইয়ে , কখনো হর্ষধ্বনিতে সমূলে বৃক্ষ'সমুহের অনিন্দ্য উৎসব। উৎসবের আলেখ্যে বৃক্ষের তরঙ্গ , মধুরেনু বৃষ্টি'র জলকণায় আবহ সুখশ্রাব্য ধ্বনি। ... উৎসের লীনে ওদিকে উচ্ছল প্রবাহিত গঙ্গা । আলিঙ্গনের শৃঙ্খলতায় , খাঁজে খাঁজে শির শির কাঁপুনি।

আর , এদিকে - পদব্রজে সিঁথি চুইয়ে পড়া সিঁদুরে , কৈশোরগন্ধী জল রঙা পারুল । ধুয়ে যাওয়া মাখন ত্বক জুড়েই , যার লাল হলুদের শিল্পকলায় গঙ্গা'পারের সদ্য গোধূলি'র আভা । কি আশ্চার্য ! যার এক চোখে চপল সৌন্দর্য - আর এক চোখে খেলা করে কৃষ্ণের বাঁশি । মোহন অন্বেষণে ঠিক যেন ভুবনমোহিনী শঙ্খিনী রাঁধা !

আম্র পল্লবিত চোখ পেরিয়েই সরস ঠোঁট । ঝিনুক চেরা উদ্ভাসিত দাঁত , যার হিল্লোলে ক্রমশঃ বেসামাল ছড়ানো মুক্তো। মুক্তো জলে লেপে নেওয়া মসৃণ বুকে , কাঁচুলি'ও যেন ম্রিয়মান ! জল ডোবা সিফন বনফুলে হাবু ডুবু খাওয়া কাতর স্তনের উন্মুখ অপরূপ বৃন্ত । প্রেম ভিক্ষু রমণীর এই বুক, সাধনার এও এক স্বর্গ । প্রাণ পুরুষে ...।

রহস্য অমোঘ - অনধিগম্য । আমাকে মুহ্যমান করে রাখে , হাঁ করে উঁচিয়ে অনাঘ্রাত চাঁদ ছোঁয়া নাভি । দৃঢ় অথচ মসৃণ অবয়ব জুড়েই পাকে পাকে সমূহ যত বিস্ময় ! ঠিক শান্ত দীঘির জল , গভীর আবার স্বচ্ছ ।

ঝড়ো কৌণিক গতিতে ক্রমশঃ আছড়ে পড়ছি , মনোমোহন উচ্ছ্বাসে । বাঁধন হারায় , কোমল অনিন্দ্য ঠোঁটে নিষ্প্রাণ শব্দে ছুঁয়ে দিলাম ঠোঁট । ঠোঁট নিঃসৃত মাধ্বী পানে আমি বাউল মাতাল ... সৌগন্ধে , অনিন্দ্যসুন্দরী পারুল তটে ।

------------------------------------ * সুখ স্মৃতির সরণী থেকে ৫ই নভেম্বর

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন