কথোপকথন
ইমেল নাঈম
- কি ভাবছ?
- জানো আমি কখনো গ্রাম দেখিনি। শহরের
ইট পাথরের ধুলোর মাঝেই বেড়ে ওঠা আমার।
- কেন দেখবে ? আমি নিয়ে যাবো তোমায়।
- সত্যি নিয়ে যাবে ? গ্রাম মানে একেবারে প্রাচীন গ্রাম
যেখানে সভ্যতার আলো পৌঁছায় নি আজও।
- মুস্কিলে ফেলে দিলে। এমন গ্রাম তো এখন জাদুঘরেও মিলবে না।
- ওহ আচ্ছা !
- কি মন খারাপ করলে?
- নাহ , কিছুই তো করার নেই। সভ্যতা যখন
গ্রামকে রাঙায় নিজের আলোতে
সেখানে তোমার আমার কিবা করার থাকে?
- তাহলে গুমরো মুখে প্যাঁচার সাজ নিচ্ছ যে?
- প্যাঁচার সাজ পেলে কই? ভাবছি গ্রাম
দেখতে কেমন? তুমি কি বলবে সামান্য কিছু?
- গ্রাম বলতে প্রথমে চোখের সামনে ভেসে ওঠে
মেঠো পথ আর তার উপর দিয়ে বয়ে চলে গরুর গাড়ি।
- এ্যাই, তুমি কখনো গরুর গাড়িতে চরেছ?
- নাহ তবে দাদুর কাছে শুনেছি, সেটাই বলার চেষ্টা করছি ।
- ওহ , আচ্ছা। গ্রামের ঘরবাড়ি সম্পর্কে কিছু বল তো আমাকে।
- গ্রামের ঘর বাড়ি গুলো মাটির তৈরি,
কোথাও সেগুলোর চালা দেয়া হয় খড়ের,
যারা একটু ধনী তাদের ঘর হয় টিনের।
_ গ্রামের মানুষগুলো অনেক সহজ সরল,
তারা সকাল থেকে রাত অব্ধি পরিশ্রম করে।
- এটা তো শহরের মানুষরাও করে, এতে বলার কি আছে?
- হুঁ করে তো, কিন্তু একটু পার্থক্য আছে।
- কিসের পার্থক্য?
- তুমি তাদের দিকে তাকালেই বুঝবে তারা কোথায় কোন কাজে যাচ্ছে,
এই যেমন কাঁধে লাঙ্গল বা মই সেই সাথে
জোড়া বলদ দেখলেই বুঝে যাবে তারা কৃষক।
- ওহ আচ্ছা, এখন বুঝেছি! গ্রামের উৎসব নিয়ে কি কিছুই বলবে না?
- হুম, গ্রামের কিছু উৎসব নিয়মিত হত
যা কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সমাজ থেকে।
- কোন কোন উৎসব?
- এই ধর, আগে প্রতি সপ্তাহের শেষে পুঁথি পাঠের উৎসব বসত,
এখন হারিয়ে গেছে। যেমনটি হারিয়ে গেছে পালা গান।
হালখাতাও হারিয়ে গেছে।
- কি বল হালখাতাও হারিয়ে গেছে।
- হুঁ। অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে গ্রাম থেকে।
এখন হালের গরুর জায়গা দখল করেছে ইঞ্জিন চালিত যন্ত্র।
মাটির ঘরও হারিয়ে গেছে, সেই জায়গা
দখল করেছে ইট পাথর আর রড।
গরু গাড়ি নেই , পাকা রাস্তায় এখন কালো ধোঁয়ার চাষাবাদ হয় এখানে।
- কি বল , তবে কি গ্রাম হারিয়ে যাচ্ছে সমাজ থেকে।
- নাহ গ্রাম হারাচ্ছে না, গ্রাম সময়ের সাথে আধুনিক হচ্ছে।
শুধু হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য।
কতজন দেখেছেন
আমরা কারাঃ
সম্পাদকমন্ডলী - প্রেরণা অনলাইন
মৌ দাশগুপ্তা, কাশীনাথ গুঁই, সুমিতরঞ্জন দাস।
পরিচালকমণ্ডলী - প্রেরণা গ্রুপ
মিতা অজানা, দেবী রায় মুখার্জী, সায়ন দে, ঋতুপর্ণা বিশ্বাস সরকার, সুদীপ্তা চ্যাটার্জী, ও কাশীনাথ গুঁই।
প্রচ্ছদ ও অলঙ্করন:
সুমিতরঞ্জন দাস
মৌ দাশগুপ্তা, কাশীনাথ গুঁই, সুমিতরঞ্জন দাস।
পরিচালকমণ্ডলী - প্রেরণা গ্রুপ
মিতা অজানা, দেবী রায় মুখার্জী, সায়ন দে, ঋতুপর্ণা বিশ্বাস সরকার, সুদীপ্তা চ্যাটার্জী, ও কাশীনাথ গুঁই।
প্রচ্ছদ ও অলঙ্করন:
সুমিতরঞ্জন দাস
সূচিপত্র
আমাদের দু’ চার কথা
অতিথি সম্পাদকের কলম
বিশেষ বিভাগ: রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল স্মরনিকা
বিভাগ : কবিতার সাতকাহন
বিভাগ : গল্প
বিভাগ : অনুবাদকের কলমে
অতিথি সম্পাদকের কলম
বিশেষ বিভাগ: রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল স্মরনিকা
বিভাগ : কবিতার সাতকাহন
বিভাগ : গল্প
বিভাগ : অনুবাদকের কলমে
পুরানো সংখ্যাগুলো
-
▼
2013
(
270
)
- ► সেপ্টেম্বর ( 26 )
-
▼
জুন
(
18
)
- সম্পাদকীয় - ১ম বর্ষ, ৩য় সংখ্যা
- ছোটগল্প - কাশীনাথ গুঁই
- ছোটগল্প - কাজরী তিথি জামান
- মুক্তগদ্য - অদ্রি আহমেদ
- ছোটগল্প - বিপ্র বিমল
- কথোপকথন - ইমেল নাঈম
- কবিতা - শাকিলা তুবা
- কবিতা - মিলন চ্যাটার্জি
- কবিতা - কচি রেজা
- কবিতা - অনুপ দত্ত
- কবিতা - চৌধুরী ফাহাদ
- কবিতা - বিক্রম বিকি সাহা
- কবিতা - অমিতাভ দাশ
- কবিতা - মেঘবালিকা
- কবিতা - স্নেহাশীষ দাস
- কবিতা - সুজন ভট্টাচার্য
- কবিতা - তন্ময় ভট্টাচার্য
- কবিতা - মৌ দাশগুপ্তা
বিষয়সমূহ
অতিথি সম্পাদকের কলম
(5)
অনুবাদকের কলমে
(6)
আমাদের দু’ চার কথা
(2)
কবিতার সাতকাহন
(49)
গল্প-স্বল্প
(8)
প্রবন্ধ
(22)
বিশেষ বিভাগ
(28)
ভ্রমণকাহিনী
(2)
আগামী সংখ্যা সম্পর্কে
প্রেরণা অনলাইনের পরবর্তী সংখ্যা প্রকাশের সম্ভ্রাব্য তারিখ আগামী ২৮শে জুন ২০১৪, লেখা পাঠান preronaweb@gmail.com মেলে ২০শে এপ্রিল-এর মধ্যে। নতুন বছরে নতুনরূপে প্রকাশ পাবে “প্রেরণা অনলাইন”। সঙ্গে থাকুন, সাক্ষী থাকুন।
এফবি কমিউনিটি বা অন্য কোথাও প্রকাশিত লেখা আমরা গ্রহন করি না। সদ্যজাত লেখা নিতেই আমরা বেশি আগ্রহী।
সর্বাধিক জনপ্রিয় লেখাগুলি
-
শরতে অচিনপুরের ডাক ইন্দ্রানী সরকার কোন অচিনপুরের ডাক এসেছে তা' জানি না, অমানিশার অন্তে দেখি ভোরের স্নিগ্ধ আলো | ভৈরবীর সুমধুর রাগে আকা...
-
মোমবাতি বিপ্র বিমল ফোনটা রেখে দেয় মৌমিতা। রিসিভারটা রেখেই আনমনা হয়ে যায় মৌমিতা। কাজল-দা খুব অসুস্থ। লিভারে সমস্যা। বাঁচার সম্ভাবনা প্...
-
হারব না ...হারাবো তোকে ঋত্বিক দাশ শর্মা যৌবনের ওই উপবনে দাগ রয়েছে কতো সবুজ পাতায় রঙ মোছেনি ঘাস ছিঁড়েছি কতো । সত্যি মিথ্যা কত ভাষা আক...
-
অভিমান মামনি দত্ত এক অধ্যায়ের শেষ প্রান্তে এসে_ আমার দুচোখ থেকে চেয়েছো অতীত বেলা। অনন্তে মিলিয়েছি আলোর কথা, এখন অন্তস্রোত নির্দিষ্ট অন্...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন