অপেক্ষা-আশঙ্কার টানাপোড়েন
সর্বজিৎ সরকার
বারবার ঘন মেঘ করেও যেন বৃষ্টি নামছে না আজ। বাগানের নারকেল-সুপারী-আম গাছগুলো পিপাসার্ত পাখির মতো দু-ফোঁটা বৃষ্টির আশায় হা করে চেয়ে আছে আকাশের দিকে! মাঝে মাঝে ডালপালা গুলো দুলিয়ে জানান দিচ্ছে অস্হিরতাটুকু।
মা এদিকে সকাল থেকেই অস্হির হয়ে উঠেছে বাসি কাপড়গুলো ভিজিয়েছে বলে। কাজের মাসিকে কয়েকবার ফোনে ধমক দিয়ে তাড়াতাড়ি আসতে বলেছিল। অবাক হওয়ার মতো কিছুই নেই! যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হাতে রাখা যন্ত্রটি এখন সবার ঘরে ঘরেই! কাঁচুমাঁচু মুখ করে এসে কাপড়গুলো সব ধুইয়ে ছাদে মেলে দিয়েছে মাসি। কিন্তু মায়ের অস্হিরতা কমবার নয়। বৃষ্টি আসার তাড়ণায় খিটিমিটি লেগেই আছে বাড়িটাতে। একই বাড়িতে দুরকমের অনুভূতি,আশঙ্কা আর অপেক্ষা! ঘরজুড়ে চলছে আশঙ্কা আর ভ্য,এবং বাগানজুড়ে তখন দুফোঁটা বৃষ্টির অপেক্ষা গাছগুলোর! গোটা বড়িতে তখন অপেক্ষা আর আশঙ্কার টানাপোড়েন চলছে। ছাদজুড়ে পাহাড়ার দায়িত্বটা এসে পড়ল আমারই ঘাড়ে। অগত্যা...ফেসবুকটা খোলা রেখেই নজর রাখলাম ছাদের দিকে! ফেসবুকে দেখি সবাই বৃষ্টি নিয়ে নানান স্ট্যাটাস দিচ্ছে!
কেউ দিয়েছে,“আজ মেঘলা দিনে খিচুরি খেতে ইচ্ছে করছে!”
কেউ আবার লিখেছে,“আয় বৃষ্টি ঝেপে,ধান দেব মেপে!” ইত্যাদি...ইত্যাদি।
আমি আর কি লিখব বুঝে উঠতে পারলাম না। ছাদে বসে বৃষ্টির আশঙ্কায় জামাকাপড় পাহারা দিচ্ছি,এরকম স্ট্যাটাস তো আর দেওয়া যায় না! আত্মসম্মানেও লাগে। তাই ওই অকাজের ফেসবুকটা বন্ধ করে মায়ের দেওয়া কাজে মন দেওয়াটাই শ্রেয় মনে করলাম।
হঠাৎ দেখি দু-এক ফোটা বৃষ্টি পড়ে ছাদটায় বৃষ্টির দাগ পড়েছে। যেই না পড়া,অমনি মায়ের চিৎকার......
আমি একছুটে গিয়ে জামাকাপড় তুলে ঘরেই মেলে দিলাম! ওদিকে বাগানের বুকে তখন আনন্দের সীমাহীন উচ্ছাস! আজ বোধহয় অনেকদিন পর ওরা শান্তিতে ভিজতে পারবে অনেকক্ষণ! বাড়ির কুকুর ভুলিটাও জড়োসড়ো হয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাড়ির সামনের বারান্দায়! ঠিক তখনি ঝেঁপে নামল সেই আশঙ্কা আর অপেক্ষার সংমিশ্রণ!
বাগানজুড়ে বৃষ্টির ফোঁটার শব্দে যেন এক অদ্ভুদ ছন্দ তৈরী হল। দূরে কোনো বাড়িতে রবীন্দ্রসংগীত বাজছিল-
“আজি ঝরোঝরো মুখর বাদল দিনে-
জানি নে...জানি নে...
কিছুতে কেন যে মন লাগে না......”
একছুট্টে চলে গেলাম বাগানে। আমিও যে তার অপেক্ষাতেই ছিলাম চাতক পাখির মতো! বাগানের বন্ধুদের সাথে তখন ভিজে চলেছি অবিরাম! ওদিকে মা চিৎকার করে চলেছে...বৃষ্টিতে না ভেজার জন্য! মায়ের মন তো, আশঙ্কাতেই ভরা! অপেক্ষাটুকু শুধু আমার আর বাগানের বন্ধুদের। অপেক্ষাগুলো মিটে গেলেও আমায় নিয়ে আশঙ্কা বোধহয় মায়ের থেকেই যাবে!!
বারবার ঘন মেঘ করেও যেন বৃষ্টি নামছে না আজ। বাগানের নারকেল-সুপারী-আম গাছগুলো পিপাসার্ত পাখির মতো দু-ফোঁটা বৃষ্টির আশায় হা করে চেয়ে আছে আকাশের দিকে! মাঝে মাঝে ডালপালা গুলো দুলিয়ে জানান দিচ্ছে অস্হিরতাটুকু।
মা এদিকে সকাল থেকেই অস্হির হয়ে উঠেছে বাসি কাপড়গুলো ভিজিয়েছে বলে। কাজের মাসিকে কয়েকবার ফোনে ধমক দিয়ে তাড়াতাড়ি আসতে বলেছিল। অবাক হওয়ার মতো কিছুই নেই! যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হাতে রাখা যন্ত্রটি এখন সবার ঘরে ঘরেই! কাঁচুমাঁচু মুখ করে এসে কাপড়গুলো সব ধুইয়ে ছাদে মেলে দিয়েছে মাসি। কিন্তু মায়ের অস্হিরতা কমবার নয়। বৃষ্টি আসার তাড়ণায় খিটিমিটি লেগেই আছে বাড়িটাতে। একই বাড়িতে দুরকমের অনুভূতি,আশঙ্কা আর অপেক্ষা! ঘরজুড়ে চলছে আশঙ্কা আর ভ্য,এবং বাগানজুড়ে তখন দুফোঁটা বৃষ্টির অপেক্ষা গাছগুলোর! গোটা বড়িতে তখন অপেক্ষা আর আশঙ্কার টানাপোড়েন চলছে। ছাদজুড়ে পাহাড়ার দায়িত্বটা এসে পড়ল আমারই ঘাড়ে। অগত্যা...ফেসবুকটা খোলা রেখেই নজর রাখলাম ছাদের দিকে! ফেসবুকে দেখি সবাই বৃষ্টি নিয়ে নানান স্ট্যাটাস দিচ্ছে!
কেউ দিয়েছে,“আজ মেঘলা দিনে খিচুরি খেতে ইচ্ছে করছে!”
কেউ আবার লিখেছে,“আয় বৃষ্টি ঝেপে,ধান দেব মেপে!” ইত্যাদি...ইত্যাদি।
আমি আর কি লিখব বুঝে উঠতে পারলাম না। ছাদে বসে বৃষ্টির আশঙ্কায় জামাকাপড় পাহারা দিচ্ছি,এরকম স্ট্যাটাস তো আর দেওয়া যায় না! আত্মসম্মানেও লাগে। তাই ওই অকাজের ফেসবুকটা বন্ধ করে মায়ের দেওয়া কাজে মন দেওয়াটাই শ্রেয় মনে করলাম।
হঠাৎ দেখি দু-এক ফোটা বৃষ্টি পড়ে ছাদটায় বৃষ্টির দাগ পড়েছে। যেই না পড়া,অমনি মায়ের চিৎকার......
আমি একছুটে গিয়ে জামাকাপড় তুলে ঘরেই মেলে দিলাম! ওদিকে বাগানের বুকে তখন আনন্দের সীমাহীন উচ্ছাস! আজ বোধহয় অনেকদিন পর ওরা শান্তিতে ভিজতে পারবে অনেকক্ষণ! বাড়ির কুকুর ভুলিটাও জড়োসড়ো হয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাড়ির সামনের বারান্দায়! ঠিক তখনি ঝেঁপে নামল সেই আশঙ্কা আর অপেক্ষার সংমিশ্রণ!
বাগানজুড়ে বৃষ্টির ফোঁটার শব্দে যেন এক অদ্ভুদ ছন্দ তৈরী হল। দূরে কোনো বাড়িতে রবীন্দ্রসংগীত বাজছিল-
“আজি ঝরোঝরো মুখর বাদল দিনে-
জানি নে...জানি নে...
কিছুতে কেন যে মন লাগে না......”
একছুট্টে চলে গেলাম বাগানে। আমিও যে তার অপেক্ষাতেই ছিলাম চাতক পাখির মতো! বাগানের বন্ধুদের সাথে তখন ভিজে চলেছি অবিরাম! ওদিকে মা চিৎকার করে চলেছে...বৃষ্টিতে না ভেজার জন্য! মায়ের মন তো, আশঙ্কাতেই ভরা! অপেক্ষাটুকু শুধু আমার আর বাগানের বন্ধুদের। অপেক্ষাগুলো মিটে গেলেও আমায় নিয়ে আশঙ্কা বোধহয় মায়ের থেকেই যাবে!!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন