সমর্পিতা
অশোক কুমার লোধ
নিন্ম-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী ছাত্র সায়ন ।
অনেক না-পাওয়ার যন্ত্রণা সে মেনে নিয়েছিল অনায়াসে ।
ভালো ছাত্র হওয়া ছাড়াও বলার মতো গুন ছিল তার গানের গলা এবং তুমুল রসবোধ । অশিক্ষিত কন্থেও সুরের অভাব ছিল না কোনও । চরম অভাবের মাঝেও মুখের হাসিটি ছিল অমলিন । এই দুটি কারনেই তার সঙ্গ উপভোগ্য ছিল তার প্রায় সমস্ত বন্ধু এবং তাদের পরিবারের কাছেও ।
কৈশোর ও যৌবনের সন্ধিক্ষণে যখন উড়ু উড়ু ভাব তার প্রায় সমস্ত বন্ধু বান্ধবীদের , তখনও সে নির্বিকার ভালোবাসাবাসিতে । ওসব যেন ঠিক ওর জন্যে নয় ! আসলে , ঝালমুড়ি , ফুচকা , বাদাম ভাজা সহযোগে সিনেমা দেখার বা পার্কে বসার খরচও তো নেহাত কম নয় ! নিজের পড়ার খরচ জোগাতেই তাকে একগুচ্ছ প্রাইভেট পড়াতে হয় মাধ্যমিকের পর থেকেই ।
আগুনে যৌবনের একটা জ্বালা তো থাকেই , নারীর প্রতি আকর্ষণও স্বাভাবিক । তবুও তার বেলেল্লা প্রকাশ অদ্ভুত মনে হতো সায়নের । সমবয়েসি বন্ধু বান্ধবীদের সাথে এখানেই তার মস্ত অমিল । অমিল ভালো লাগার ক্ষেত্রেও । আদুরে ন্যাকামি সর্বস্ব সুন্দরী নয় , তাকে অনেক বেশী টানত পরিনত নারীর স্নিগ্ধ সৌন্দর্য ।
তেমনই একজন ছিলেন সায়নের খুবই কাছের এক বান্ধবী সমর্পিতার মা , সম্বোধনে কাকিমা । সেই কাকিমা , যে মাত্র ২৫ বছর বয়েসেই স্বামীহারা হয়ে জীবনের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন একমাত্র মেয়েকে সাথী করে । কাকিমার জন্য অদ্ভুত একটা কষ্ট হত , আর ভীষণ ভালো লাগতো নানা বিষয়ে কাকিমার সাথে আড্ডা দিতে , গান শোনাতে , কাকিমার হাতের চায়ের স্বাদটিও ছিল অপূর্ব ।
সমর্পিতার খুব অভিমান হতো , আলাদা ঘরে সায়নকে বারবার ডেকে নিতে চাইত পড়াশোনার আছিলায় । কাকিমাও বলতেন , “ যা , এবার তোরা পড়ার ঘরে যা । ’’
পড়ার ঘরে গেলেও সমর্পিতার চোখের ভাষা পড়ার সাধ সায়নের হয়নি কোনও দিনও ! মেয়েটি শেষমেশ অকপটে জানিয়েও ছিল তার ভালোবাসার কথা । সায়ন ভেবে দেখেছে অনেকবার , “ ইস্ , ও যদি কাকিমার মতো হ’তো !”
প্রায় ১৫ বছর পড়ে হঠাৎ দেখা সদ্য বিধবা সমর্পিতার সাথে , বিস্মিত সায়ন বলেই ফেললো , “ তোকে আজ ঠিক কাকিমার মতো স্নিগ্ধ লাগছে রে ! ’’
সমর্পিতার দুটি চোখ থেকে গড়িয়ে নেমে এলো আজন্ম সমর্পণ ।
নিন্ম-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী ছাত্র সায়ন ।
অনেক না-পাওয়ার যন্ত্রণা সে মেনে নিয়েছিল অনায়াসে ।
ভালো ছাত্র হওয়া ছাড়াও বলার মতো গুন ছিল তার গানের গলা এবং তুমুল রসবোধ । অশিক্ষিত কন্থেও সুরের অভাব ছিল না কোনও । চরম অভাবের মাঝেও মুখের হাসিটি ছিল অমলিন । এই দুটি কারনেই তার সঙ্গ উপভোগ্য ছিল তার প্রায় সমস্ত বন্ধু এবং তাদের পরিবারের কাছেও ।
কৈশোর ও যৌবনের সন্ধিক্ষণে যখন উড়ু উড়ু ভাব তার প্রায় সমস্ত বন্ধু বান্ধবীদের , তখনও সে নির্বিকার ভালোবাসাবাসিতে । ওসব যেন ঠিক ওর জন্যে নয় ! আসলে , ঝালমুড়ি , ফুচকা , বাদাম ভাজা সহযোগে সিনেমা দেখার বা পার্কে বসার খরচও তো নেহাত কম নয় ! নিজের পড়ার খরচ জোগাতেই তাকে একগুচ্ছ প্রাইভেট পড়াতে হয় মাধ্যমিকের পর থেকেই ।
আগুনে যৌবনের একটা জ্বালা তো থাকেই , নারীর প্রতি আকর্ষণও স্বাভাবিক । তবুও তার বেলেল্লা প্রকাশ অদ্ভুত মনে হতো সায়নের । সমবয়েসি বন্ধু বান্ধবীদের সাথে এখানেই তার মস্ত অমিল । অমিল ভালো লাগার ক্ষেত্রেও । আদুরে ন্যাকামি সর্বস্ব সুন্দরী নয় , তাকে অনেক বেশী টানত পরিনত নারীর স্নিগ্ধ সৌন্দর্য ।
তেমনই একজন ছিলেন সায়নের খুবই কাছের এক বান্ধবী সমর্পিতার মা , সম্বোধনে কাকিমা । সেই কাকিমা , যে মাত্র ২৫ বছর বয়েসেই স্বামীহারা হয়ে জীবনের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন একমাত্র মেয়েকে সাথী করে । কাকিমার জন্য অদ্ভুত একটা কষ্ট হত , আর ভীষণ ভালো লাগতো নানা বিষয়ে কাকিমার সাথে আড্ডা দিতে , গান শোনাতে , কাকিমার হাতের চায়ের স্বাদটিও ছিল অপূর্ব ।
সমর্পিতার খুব অভিমান হতো , আলাদা ঘরে সায়নকে বারবার ডেকে নিতে চাইত পড়াশোনার আছিলায় । কাকিমাও বলতেন , “ যা , এবার তোরা পড়ার ঘরে যা । ’’
পড়ার ঘরে গেলেও সমর্পিতার চোখের ভাষা পড়ার সাধ সায়নের হয়নি কোনও দিনও ! মেয়েটি শেষমেশ অকপটে জানিয়েও ছিল তার ভালোবাসার কথা । সায়ন ভেবে দেখেছে অনেকবার , “ ইস্ , ও যদি কাকিমার মতো হ’তো !”
প্রায় ১৫ বছর পড়ে হঠাৎ দেখা সদ্য বিধবা সমর্পিতার সাথে , বিস্মিত সায়ন বলেই ফেললো , “ তোকে আজ ঠিক কাকিমার মতো স্নিগ্ধ লাগছে রে ! ’’
সমর্পিতার দুটি চোখ থেকে গড়িয়ে নেমে এলো আজন্ম সমর্পণ ।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন