ধর্ম ও ধর্মীয় উৎসবঃ প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে দুচার কথা
সায়ন দে
ধর্ম মানুষকে একটা সময় হিংসা, দলাদলি আর বিশৃঙ্খল জীবনযাপন থেকে শান্তি ও সংঘবদ্ধ জীবনের রাস্তা দেখিয়েছিল... আজ ধর্ম মানুষকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে গেছে সেই বিশৃঙ্খলতায়, সেই হানাহানিতে । উৎসব মানুষকে মেলায়, ভাবের আদানপ্রদানের মাঝ দরিয়ায় মানুষ চিনতে শেখায় । কিন্তু সেই উৎসব আজকাল কেবলই ব্যবসা হয়ে গিয়েছে । মানুষের আবেগ, বিশ্বাস আর আস্থা নিয়ে চলছে কেনাবেচা, লাভ ক্ষতির হিসেব নিকেস । রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা ব্যস্ত সেই উৎসবে জমায়েত বিপুল সমর্থনকে ভোট বাক্সে সুনিশ্চিত করতে । যাদের নিয়ে এতো লাফালাফি এতো আড়ম্বর, সেই ঈশ্বর কেন জানিনা বড়ই চুপচাপ । আস্তিকরা বলবেন তিনি সবই দেখছেন ও ঠিক সময়েই সঠিক ব্যবস্থা নেবেন । আর ঈশ্বর-অবিশ্বাসীদের দল এখানেই খুঁজে নেবে তাদের ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতার দাবীর পিছনে আরও একটা যুক্তি । এদেশীয় ধ্রুপদী আধ্যাত্মবাদ নিজের প্রাসঙ্গিকতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে যদি তা সহ্য করি বা পাশ্চাত্য আধুনিক এনলাইটেড যুগের পণ্ডিতরা জগতের যে প্রাকৃতিক নিয়ম (Law of Nature)-এর কথা বলতেন সেই নিয়ম যদি মেনে নিই কিংবা আর্থসামাজিক দিক থেকে মার্কসের তত্ত্ব অনুযায়ী এই সমাজের সব কিছুর ওপর পুঁজিবাদী প্রভাবের অতি সক্রিয়তা এই ব্যবস্থাকে ভেঙে সমাজ বিবর্তনের ঐতিহাসিক ধারা অনুসারে সমাজতন্ত্রের দিকে আমাদের নিয়ে চলেছে বলে যদি ধরে নিই, তাহলে হয়ত এ যা কিছু হচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে বলেই মনে হবে । কিন্তু আদৌ কি সব ঠিক হচ্ছে ? ঠিক ভুলের বিচার করার আমরাই বা কে ? আমরা যদি কেউ নই তাহলে কে করবে বিচার ? নিত্যদিন নৈতিকতার অবক্ষয় যে সত্যিই হয়ে চলেছে তার দায় স্বীকার করবে কোন পক্ষ ? আবার নৈতিকতা যে টিকিয়ে রাখতে হবেই এমন মাথার দিব্যিই বা কে দিয়েছে ? এই সব প্রশ্নের মাঝে ‘ধর্মীয় উৎসব’ এর ধারণাকে প্রতিস্থাপন করলে যেটা পাওয়া যাবে তাতে বোধহয় নতুন করে কিছু ভাবার জায়গা তৈরি হতেই পারে ।
প্রথমেই বুঝে নিতে হবে সাধারণ উৎসব আর ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে পার্থক্যটাকে । আসলে সত্যি কথা বলতে কি, কোন পার্থক্যই নেই । ‘উৎসব’ ধারণার জন্ম ধর্ম পালনের মধ্যে থেকেই, তাই সে অন্নপ্রাশন, বিবাহ, জন্মদিনের মত নিতান্তই ব্যক্তিগত উৎসব হোক বা দুর্গা পুজো, ঈদ, ক্রিসমাস, নিউ ইয়ার-এর মত সার্বজনীন উৎসবই হোক, সব উৎসবেই ধর্মীয় ছোঁয়া একটু না একটু হলেও আছে । ধর্মকে বাদ দিয়ে উৎসব হতে পারে না । তাই ধর্ম ও উৎসবের উদ্দেশ্যটা কোথাও গিয়ে এক হয়ে গেছে; অর্থাৎ মানব মিলন ঘটানো । কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে যে এই উদ্দেশ্য আজ ভূলুণ্ঠিত । স্বার্থ, লোভ, ক্ষমতা লিপ্সা এ সব মানুষের আদিম গুণ, আগেও ছিল এখনও আছে, যতদিন মানুষ থাকবে এ গুণ গুলো ততদিনই থাকবে, তাহলে ধর্ম-উৎসবের আদর্শ ও উদ্দেশ্যে এতো অবক্ষয় এলো কেন ? মানুষের ঈশ্বরে বিশ্বাস বা ভাগ্যের সংশয়ে ঈশ্বর ভক্তির তো বিন্দুমাত্র হ্রাস ঘটেনি, তাহলে ? ধর্ম নিয়ে ভাগ বাঁটোয়ারাও তো কম হল না, যে যারটা বুঝে নিতেই তো এতো দেশ ভাগ, এতো আলাদা আলাদা ধর্ম সাধনার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, এতো সংস্কৃতির ভেদাভেদ মেনে চলা হল, ধর্ম রক্ষার জন্যেই তো এতো কিছু, তাহলে এতো অবক্ষয় কেন ? অবক্ষয়গুলো আর আলাদা করে না উল্লেখ করলেও উত্তরটা আমরা সবাই এভাবেই জানি যে, আমরা ধর্ম কেবল মূর্খের মত পালনই করে এসেছি যুগ যুগ ধরে, ধর্মের মর্মার্থকে অনুধাবন করিনি, আর যারা ধর্মকে বোঝানোর দায়িত্ব নিজে থেকেই নিজেদের ঘাড়ে চাপিয়ে নিয়েছেন, তারা যে যুগ যুগ ধরে আমাদের ভুল বুঝিয়েই আসছেন তাও আজ স্বীকার না করে উপায় নেই । রাষ্ট্র কখনোই ধর্মকে চোখ রাঙিয়ে নিজের মত করে খুব বেশীদিন চলতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না, তাহলে কে নেবে দায় ? আর কেই বা দেখাবে রাস্তা ?
ধর্ম বা ধর্মীয় উৎসব কি তাহলে না থাকাই ভালো ? যদি এই মন্দির, মসজিদ, গির্জা না থাকে, যদি রথের মেলা, মহরম আর গুড ফ্রাইডে না থাকে, তাহলে কি ভালো হবে ? না থাকবে বাঁশ আর না বাজবে বাঁশি, না থাকবে ধর্ম, না থাকবে উৎসব আর তাহলে কি এতো অবক্ষয় থেমে যাবে ? না বোধ হয় । একটা পরিচিত কলঙ্কিত অবক্ষয়ের উদাহরণ দিয়েই বলি, নারী নির্যাতন ও শারীরিক অবমাননা কি কোন ধর্ম মানে ? মদের নেশায় চুর হয়ে লাল চোখের দূষিত পুরুষত্বের রক্তাক্ত আস্ফালন কি কোন ধর্মীয় উৎসব বাদ দেবে ? দুর্গাপূজা হোক বা ঈদ উল ফিতর, কোনও উৎসবের পবিত্রতা কি তাদের পাশবিকতার হাত থেকে রেহাই দিতে পারবে নারী দেহকে ? পারবে না । কারণ এসব যে ধর্ম, উৎসব ধারণার সৃষ্টির আগে থেকে মানব সভ্যতায় ঢুকে পড়েছিল, আর ধর্ম বা উৎসব কোনটাই পারেনি সেই অবক্ষয়ের বিষ কে বার করে দিতে । আজ সমাজে যে কটা অবক্ষয়ের বিষ লুকিয়ে থেকে সমাজটাকে কুরে কুরে শেষ করে দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, তার সবকটাই প্রাক- ধর্ম কলঙ্ক, ধর্ম সেগুলোকে শেষ করে দিতেই বানানো হয়েছিল, কিন্তু তা শেষ হয়নি, কারণ ধর্মের কারবারিরা কখনো নিজেদের স্বার্থে কখনো অক্ষমতায় সেই কলঙ্কগুলোর উপর দিয়ে কেবল একটা প্রলেপ লাগিয়ে দিয়েছিল, আর সেই প্রলেপের নামই হল ‘সভ্যতা’, ‘নৈতিকতা’, ‘উৎসব’ আর ‘নিয়ম-কানুন’ । এখন তো সেই প্রলেপগুলোই খুলে খুলে পড়ছে আর আমাদের আসল রূপটা ক্রমশ উন্মোচিত হচ্ছে । ধর্ম বা ধর্মীয় উৎসব আমাদের জংলিপনার ঐতিহ্যের মাঝে কেবল কয়েকটি যুগের নাটক ছাড়া আর কিছু নয় । আমরা এখন এই নাটকের যুগের শেষ দৃশ্যে অভিনয় করছি । সভ্যতার প্রেক্ষাগৃহে ধর্ম আর উৎসবের নাটক শেষ হলেই আমাদের খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে জঙ্গলের বাস্তবতায় ।
সায়ন দে
ধর্ম মানুষকে একটা সময় হিংসা, দলাদলি আর বিশৃঙ্খল জীবনযাপন থেকে শান্তি ও সংঘবদ্ধ জীবনের রাস্তা দেখিয়েছিল... আজ ধর্ম মানুষকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে গেছে সেই বিশৃঙ্খলতায়, সেই হানাহানিতে । উৎসব মানুষকে মেলায়, ভাবের আদানপ্রদানের মাঝ দরিয়ায় মানুষ চিনতে শেখায় । কিন্তু সেই উৎসব আজকাল কেবলই ব্যবসা হয়ে গিয়েছে । মানুষের আবেগ, বিশ্বাস আর আস্থা নিয়ে চলছে কেনাবেচা, লাভ ক্ষতির হিসেব নিকেস । রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা ব্যস্ত সেই উৎসবে জমায়েত বিপুল সমর্থনকে ভোট বাক্সে সুনিশ্চিত করতে । যাদের নিয়ে এতো লাফালাফি এতো আড়ম্বর, সেই ঈশ্বর কেন জানিনা বড়ই চুপচাপ । আস্তিকরা বলবেন তিনি সবই দেখছেন ও ঠিক সময়েই সঠিক ব্যবস্থা নেবেন । আর ঈশ্বর-অবিশ্বাসীদের দল এখানেই খুঁজে নেবে তাদের ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতার দাবীর পিছনে আরও একটা যুক্তি । এদেশীয় ধ্রুপদী আধ্যাত্মবাদ নিজের প্রাসঙ্গিকতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে যদি তা সহ্য করি বা পাশ্চাত্য আধুনিক এনলাইটেড যুগের পণ্ডিতরা জগতের যে প্রাকৃতিক নিয়ম (Law of Nature)-এর কথা বলতেন সেই নিয়ম যদি মেনে নিই কিংবা আর্থসামাজিক দিক থেকে মার্কসের তত্ত্ব অনুযায়ী এই সমাজের সব কিছুর ওপর পুঁজিবাদী প্রভাবের অতি সক্রিয়তা এই ব্যবস্থাকে ভেঙে সমাজ বিবর্তনের ঐতিহাসিক ধারা অনুসারে সমাজতন্ত্রের দিকে আমাদের নিয়ে চলেছে বলে যদি ধরে নিই, তাহলে হয়ত এ যা কিছু হচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে বলেই মনে হবে । কিন্তু আদৌ কি সব ঠিক হচ্ছে ? ঠিক ভুলের বিচার করার আমরাই বা কে ? আমরা যদি কেউ নই তাহলে কে করবে বিচার ? নিত্যদিন নৈতিকতার অবক্ষয় যে সত্যিই হয়ে চলেছে তার দায় স্বীকার করবে কোন পক্ষ ? আবার নৈতিকতা যে টিকিয়ে রাখতে হবেই এমন মাথার দিব্যিই বা কে দিয়েছে ? এই সব প্রশ্নের মাঝে ‘ধর্মীয় উৎসব’ এর ধারণাকে প্রতিস্থাপন করলে যেটা পাওয়া যাবে তাতে বোধহয় নতুন করে কিছু ভাবার জায়গা তৈরি হতেই পারে ।
প্রথমেই বুঝে নিতে হবে সাধারণ উৎসব আর ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে পার্থক্যটাকে । আসলে সত্যি কথা বলতে কি, কোন পার্থক্যই নেই । ‘উৎসব’ ধারণার জন্ম ধর্ম পালনের মধ্যে থেকেই, তাই সে অন্নপ্রাশন, বিবাহ, জন্মদিনের মত নিতান্তই ব্যক্তিগত উৎসব হোক বা দুর্গা পুজো, ঈদ, ক্রিসমাস, নিউ ইয়ার-এর মত সার্বজনীন উৎসবই হোক, সব উৎসবেই ধর্মীয় ছোঁয়া একটু না একটু হলেও আছে । ধর্মকে বাদ দিয়ে উৎসব হতে পারে না । তাই ধর্ম ও উৎসবের উদ্দেশ্যটা কোথাও গিয়ে এক হয়ে গেছে; অর্থাৎ মানব মিলন ঘটানো । কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে যে এই উদ্দেশ্য আজ ভূলুণ্ঠিত । স্বার্থ, লোভ, ক্ষমতা লিপ্সা এ সব মানুষের আদিম গুণ, আগেও ছিল এখনও আছে, যতদিন মানুষ থাকবে এ গুণ গুলো ততদিনই থাকবে, তাহলে ধর্ম-উৎসবের আদর্শ ও উদ্দেশ্যে এতো অবক্ষয় এলো কেন ? মানুষের ঈশ্বরে বিশ্বাস বা ভাগ্যের সংশয়ে ঈশ্বর ভক্তির তো বিন্দুমাত্র হ্রাস ঘটেনি, তাহলে ? ধর্ম নিয়ে ভাগ বাঁটোয়ারাও তো কম হল না, যে যারটা বুঝে নিতেই তো এতো দেশ ভাগ, এতো আলাদা আলাদা ধর্ম সাধনার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, এতো সংস্কৃতির ভেদাভেদ মেনে চলা হল, ধর্ম রক্ষার জন্যেই তো এতো কিছু, তাহলে এতো অবক্ষয় কেন ? অবক্ষয়গুলো আর আলাদা করে না উল্লেখ করলেও উত্তরটা আমরা সবাই এভাবেই জানি যে, আমরা ধর্ম কেবল মূর্খের মত পালনই করে এসেছি যুগ যুগ ধরে, ধর্মের মর্মার্থকে অনুধাবন করিনি, আর যারা ধর্মকে বোঝানোর দায়িত্ব নিজে থেকেই নিজেদের ঘাড়ে চাপিয়ে নিয়েছেন, তারা যে যুগ যুগ ধরে আমাদের ভুল বুঝিয়েই আসছেন তাও আজ স্বীকার না করে উপায় নেই । রাষ্ট্র কখনোই ধর্মকে চোখ রাঙিয়ে নিজের মত করে খুব বেশীদিন চলতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না, তাহলে কে নেবে দায় ? আর কেই বা দেখাবে রাস্তা ?
ধর্ম বা ধর্মীয় উৎসব কি তাহলে না থাকাই ভালো ? যদি এই মন্দির, মসজিদ, গির্জা না থাকে, যদি রথের মেলা, মহরম আর গুড ফ্রাইডে না থাকে, তাহলে কি ভালো হবে ? না থাকবে বাঁশ আর না বাজবে বাঁশি, না থাকবে ধর্ম, না থাকবে উৎসব আর তাহলে কি এতো অবক্ষয় থেমে যাবে ? না বোধ হয় । একটা পরিচিত কলঙ্কিত অবক্ষয়ের উদাহরণ দিয়েই বলি, নারী নির্যাতন ও শারীরিক অবমাননা কি কোন ধর্ম মানে ? মদের নেশায় চুর হয়ে লাল চোখের দূষিত পুরুষত্বের রক্তাক্ত আস্ফালন কি কোন ধর্মীয় উৎসব বাদ দেবে ? দুর্গাপূজা হোক বা ঈদ উল ফিতর, কোনও উৎসবের পবিত্রতা কি তাদের পাশবিকতার হাত থেকে রেহাই দিতে পারবে নারী দেহকে ? পারবে না । কারণ এসব যে ধর্ম, উৎসব ধারণার সৃষ্টির আগে থেকে মানব সভ্যতায় ঢুকে পড়েছিল, আর ধর্ম বা উৎসব কোনটাই পারেনি সেই অবক্ষয়ের বিষ কে বার করে দিতে । আজ সমাজে যে কটা অবক্ষয়ের বিষ লুকিয়ে থেকে সমাজটাকে কুরে কুরে শেষ করে দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, তার সবকটাই প্রাক- ধর্ম কলঙ্ক, ধর্ম সেগুলোকে শেষ করে দিতেই বানানো হয়েছিল, কিন্তু তা শেষ হয়নি, কারণ ধর্মের কারবারিরা কখনো নিজেদের স্বার্থে কখনো অক্ষমতায় সেই কলঙ্কগুলোর উপর দিয়ে কেবল একটা প্রলেপ লাগিয়ে দিয়েছিল, আর সেই প্রলেপের নামই হল ‘সভ্যতা’, ‘নৈতিকতা’, ‘উৎসব’ আর ‘নিয়ম-কানুন’ । এখন তো সেই প্রলেপগুলোই খুলে খুলে পড়ছে আর আমাদের আসল রূপটা ক্রমশ উন্মোচিত হচ্ছে । ধর্ম বা ধর্মীয় উৎসব আমাদের জংলিপনার ঐতিহ্যের মাঝে কেবল কয়েকটি যুগের নাটক ছাড়া আর কিছু নয় । আমরা এখন এই নাটকের যুগের শেষ দৃশ্যে অভিনয় করছি । সভ্যতার প্রেক্ষাগৃহে ধর্ম আর উৎসবের নাটক শেষ হলেই আমাদের খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে জঙ্গলের বাস্তবতায় ।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন