৩ সেপ, ২০১৩

কবিতা - রাজর্ষি ও শ্রেয়সী




পত্রকবিতা
রাজর্ষি ও শ্রেয়সী


দোলের আগের দিন ওরা দ্যাখা করেছিল। প্রকৃতি সেদিন পরিপূর্ণ ছিল বসন্তে। ওইদিন লাল আবির মাখিয়ে দেয় অনিরুদ্ধ চিত্রলেখা'কে। চিত্রলেখা'ও ছেড়ে দেয়নি। মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিল। আর তার প্রেক্ষাপটে'ই এই চিঠি।
___________________________________________________________

ঋতুরানি,
হ্যাঁ, এই নামেই ডাকবো তোমায়।
বসন্ত আর তুমি যে একেবারেই সমার্থক।
বাসন্তিক চাঁদ তোমার ভ্রূ-যুগলে,
পলাশ কৃষ্ণচূড়ায় রাঙ্গা ওষ্ঠাধর।
অথবা আবিরের মত রঙিন তোমার অভিমান।
ভুলি কি করে চিত্রলেখা?

আমার জন্য তুমি পাগল হবে?
কতটা বৃষ্টি আনবে চিত্রা?
বসন্তের বৃষ্টি যে শুধুই বিহ্বলতা,
তা কি তুমি জান ?

তোমার ভ্রু'র নীচের ওই তিল'টা,
মাঝে মাঝে উজ্জ্বল হয়ে স্বপ্নে চলে আসে।
তখন রাতগুলোকে কবিতা কবিতা মনে হয়।
চিত্রা, হৃদয় আজ তছনছ ।
হৃদয় আজ তছনছ ।
হৃদয় আজ তছনছ ।


বসন্ত সভ্যতার ফুল রাজ্যে তোমাকে আমন্ত্রন জানিয়ে গেলাম,
চিরকালীন যৌবন যাপনের কামনায়।
ঋতুরানি, চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার কোরো কিন্তু।

........................... অনিরুদ্ধ
====================================================

অনিরুদ্ধ,
নিঃস্ব নির্ঝর দেখেছ কখনও তুমি?
অনন্তের বুকে উদাসীনা, বৈরাগিনী......
কি করে বোঝাই,
আমার স্বত্বা'ও যে আজ তোমার বুকে নিঃশর্ত সমর্পিতা।
তোমার দু-চোখের গভীরতায় স্বেচ্ছা নির্বাসিতা।

বসন্তের অপরিহার্যতা তোমার কাছে বিপর্যস্ত বারবার।
রাগ-অনুরাগের মিশ্রণে আজ চিত্ত বিকল।
বসন্তের বৃষ্টিতে কতটা বিহ্বলতা আছে জানিনা।
তবে কালো তিলের গভীরে
তোমার প্রগাঢ় ছোঁওয়ার যাদুস্পর্শে
মেঘরাঙা বিহ্বল দুপুরেরা'ও
অবিরাম বৃষ্টি হয়ে যায়।

মোহিনী ফাগুনের শেষবেলার রংটুকু'তে যে
তোমার ছোঁয়া'রা মিশে রয়েছে।
প্রেমানুরাগের রঙিন জোয়ারে তাই
হৃদয় আজ পরিপ্লাবিত।
আর এই বিমুগ্ধ হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসায়
আরও এক মুঠো লাল ছোঁওয়া আমার অনিরুদ্ধের জন্য।

ভালোবাসা নিও।
......................... তোমার ঋতুরানি।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন