আমার রুপালি ঘড়ি
সুবর্ন গোস্বামী
আমি তখন সত্তর ও নীরবতার খুব কাছাকাছি
রোগা কব্জিতে প্রাচীনতম রুপালি ঘড়িটি
পড়ছে সময়ের পুঁথি,এক এবং অদ্বিতীয়;
যাকে আড়ালে আমি এখনও ঈশ্বর বলে ডাকি।
ঘড়ির ডায়ালে ছায়া ছায়া আত্মপ্রতিকৃতিতে মগ্ন আমি
বারবার বাজিয়ে শুনছি বিশুদ্ধ রাগিণীতে বীতশ্রদ্ধ এলার্ম।
গত জন্মের উপাখ্যান।
‘তুমি নেই...তুমি নেই...তুমি নেই...”
এরকমটাই শুনতে যেন পাশের বাড়ীর
নিয়মনিষ্ঠ হারমোনিয়ামে খেয়ালী খাম্বাজ।
আমি ততদিনে নেমে এসেছি শীর্ষের শুন্য থেকে
আরও কয়েকটা দশক নিচে।
সরলরেখার সমান্তরালে হেঁটে ছেড়ে দিয়েছি
একান্নবর্তী বারান্দার ইচ্ছে।
শুধু শরীর অথবা হাড়ে সেই রুপালি ঘড়িটি
নবজাতকের কান্না থেকে সত্তর ও নীরবতা অবধি
কখনও থামেনি।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন