২৯ জানু, ২০১৪

কাশীনাথ গুঁই

আমাদের দু’ চার কথা : জানুয়ারী ২০১৪




ইংরাজি নতুন বছর হলেও স্বাধীনোত্তর ভারতে আজও এই পঞ্জিকাই আমাদের জীবন-নিয়ন্ত্রক। নানা আয়োজনে হই হই করেই সে এল। এল অনেক অঘটন অনটন সাথী করেই। বিগত বছরের শেষ দিনেই আরেক নারকীয় নারিনিগ্রহ। প্রশাসনের দুয়ারে ক্লান্ত আর্জির পরে বাসা বদল করেও মুক্তি পেলনা এক নারী – লালসার দহনের পরে, আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারল ওরা নারীকে – সারা বিশ্ব দেখল ধর্ষিতার আধপোড়া মরদেহ নিয়ে পুলিশ ও রাজিনীতির দড়ি টানাটানি।

লজ্জা দিয়েই শুরু হলেও থামেনি বর্ষবরনের হুল্লোর,চরিভাতি, শরীরী আকর্ষনের নগ্ন প্রতিযোগিতার হাতছানিও। এত বর্বরতা, এত লজ্জার ঘনঘটা তবুও কেউ গেয়ে উঠছে – ভোগে-উল্লাসেই জীবনের তৃপ্তি,যারা জীবনের মূল্যবোধে বিশ্বাস করে তারাই নাকি কষ্ট পায়, যারা সমালোচনা করে তারা জীবন হারায়। আজকের কৃষ্টি হারানো আধুনিকতা ডেকে আনছে অসভ্য বর্বরতা - আবার অতি আধুনিকতায় ডেকে আনা অঘটন নিজের বাড়ীতে ঘটলেই দোষ সমাজের। নিজেদের শোধরানোর বদলে দোষারোপ করেই মেটানো যাবে না এই অবক্ষয়। বাঁচো আর বাঁচতে দাও এই আপ্তবাক্য ভুলে গেলে জঙ্গলের পথেই এগোতে হবে একথা বোঝনোর দায় চিরকাল নিয়েছে কলমচিরাই।

এখানে আমরা সকলে তাই কলমের মুখে যেন তুলে আনতে পারি অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে হুংকার,সচেতন করতে পারি আত্মভোলা সবুজের দলকে,পাথেয় দিতে পারি পথভোলাদের। এই আশা নিয়েই ‘প্রেরনা’ র এবারের ডালি। এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় পরিবারের সকলের সাহায্য পাব এই আশা রাখি।



কাশীনাথ গুঁই।
প্রেরণা অনলাইন সম্পাদক মণ্ডলীর পক্ষে।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন