এক কবিতার দুঃখ
ব্রতীন বসু
এক কবিতা অনেক ভাবনাচিন্তা করে মনস্থির করলো কবির সাথে দেখা করবে,তাকে একবার যেতেই হবে,অনেক দেরি হয়ে গেছে,এখন না গেলে হয়তো আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না ।
একশো বছর পেরিয়ে গেছে কবি ওকে ফেলে চলে গেছেন স্বর্গলোকে,কিন্তু মহাকবি,সবাই চেনে, খুঁজে নিতে অসুবিধে হল না । রাস্তায় রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা হল ।
পেন্নাম গুরুদেব, আমার কবি কোথায় আছে বলে দিতে পারেন ।
তুমি কোন কবিতা, তোমার নাম কি ?
আজ্ঞে, আমাকে আপনি চিনবেন না,পলাশীর যুদ্ধ আমার সহোদর ।
ও নবীন সেন কে খুঁজছ, ওইদিকে যাও পেয়ে যাবে । গিয়ে দেখি কবি মেঘের বুকে গোলাপ গাছ
লাগাচ্ছেন ।
নমস্কার কবি,আপনাকে সামনে কোনদিন আর দেখতে পাবো ভাবিনি, কি যে আনন্দ হচ্ছে আমার,কি করে যে বোঝাই আপনাকে ?
আহ, বিরক্ত কর না,দেখছ না, মেঘদের কষ্ট হয়, আজকাল মেঘলা দিনে নতুন প্রেমিক প্রেমিকাদের মনে আর কাঁটা ফোটে না, তাই একটা ব্যবস্থা করছি,পরে এসো ।
আমাকে আপনি চিনতে পারলেন না?
কে তুমি, কবি মন দিয়ে গাছ লাগাতে লাগলেন, ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন ও না ।
আমি আপনার সৃষ্টি , আমাকে কেউ পড়ে না,আমি,আমি,আমি খুব ক্লান্ত,আমাকে মুক্তি দিন ।
কবি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন । সারা গায়ে সব কাটা, শুধু একটা আমি শব্দ কাটা হয়নি, সেই আমিত্বের জ্বালা, একাকীত্ব,গর্ব, যেন এক সংঘর্ষের মৌচাক ।
কবি সযত্নে গোলাপ পাতা দিয়ে মুছে দিলেন আমি শব্দটি ।
আজ থেকে তুমি আমার ভেতর আবার ফিরে এলে,চল এক সাথে মেঘের দুঃখ ঘোচাই ।
এক কবিতা অনেক ভাবনাচিন্তা করে মনস্থির করলো কবির সাথে দেখা করবে,তাকে একবার যেতেই হবে,অনেক দেরি হয়ে গেছে,এখন না গেলে হয়তো আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না ।
একশো বছর পেরিয়ে গেছে কবি ওকে ফেলে চলে গেছেন স্বর্গলোকে,কিন্তু মহাকবি,সবাই চেনে, খুঁজে নিতে অসুবিধে হল না । রাস্তায় রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা হল ।
পেন্নাম গুরুদেব, আমার কবি কোথায় আছে বলে দিতে পারেন ।
তুমি কোন কবিতা, তোমার নাম কি ?
আজ্ঞে, আমাকে আপনি চিনবেন না,পলাশীর যুদ্ধ আমার সহোদর ।
ও নবীন সেন কে খুঁজছ, ওইদিকে যাও পেয়ে যাবে । গিয়ে দেখি কবি মেঘের বুকে গোলাপ গাছ
লাগাচ্ছেন ।
নমস্কার কবি,আপনাকে সামনে কোনদিন আর দেখতে পাবো ভাবিনি, কি যে আনন্দ হচ্ছে আমার,কি করে যে বোঝাই আপনাকে ?
আহ, বিরক্ত কর না,দেখছ না, মেঘদের কষ্ট হয়, আজকাল মেঘলা দিনে নতুন প্রেমিক প্রেমিকাদের মনে আর কাঁটা ফোটে না, তাই একটা ব্যবস্থা করছি,পরে এসো ।
আমাকে আপনি চিনতে পারলেন না?
কে তুমি, কবি মন দিয়ে গাছ লাগাতে লাগলেন, ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন ও না ।
আমি আপনার সৃষ্টি , আমাকে কেউ পড়ে না,আমি,আমি,আমি খুব ক্লান্ত,আমাকে মুক্তি দিন ।
কবি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন । সারা গায়ে সব কাটা, শুধু একটা আমি শব্দ কাটা হয়নি, সেই আমিত্বের জ্বালা, একাকীত্ব,গর্ব, যেন এক সংঘর্ষের মৌচাক ।
কবি সযত্নে গোলাপ পাতা দিয়ে মুছে দিলেন আমি শব্দটি ।
আজ থেকে তুমি আমার ভেতর আবার ফিরে এলে,চল এক সাথে মেঘের দুঃখ ঘোচাই ।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন