ডিগ্রী
রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য
তুমি থামত হে, তারক ! যত্তসব ফ্যাদরা প্যাঁচাল পাড় সবসময় – ক্ষেতু বাগচী গর্জে উঠলেন ।
চন্দন ডাক্তার গলার স্টেথোটা খুলে বলল- তারকদাকে আবার আক্রমণ কেন, ক্ষেতুদা?
তারক মোত্তির উত্তর দিলেন – তুমি কল থেকে ফেরার আগে, ক্ষেতুদা বলছিলেন- ভারতের অর্থনীতির বেশ্যায়ন হয়েছে। আমি খালি বলেছি- শব্দটার উচ্চারণ হবে, বিশ্বায়ন । তাতেই , ক্ষেতুদা ফায়ার ।
কবি বদরী সান্যাল মিনমিন করে বললেন- উচ্চারণের বিধি আছে নাকি ?
আলবৎ আছে, ফোনেটিক্স একটা সাবজেক্ট বাই ইটসেল্ফ – তারক মোত্তিরের জবাব ।
থামো হে ! “উরুশ্চারণ” কথাটা তো ফটিক দাই বলে গেছেন । ক্ষেতুদা আরও ক্ষেপে চুর ।
ফটিক দা কে ? তারক বাবুর ভুরু কুঁচকে জিজ্ঞাসা ।
- আমাদের রাজুদা, মানে রাজশেখর বসুর ডাক নাম । তারক, তুমি তো বাংলা পড়াতে ! এটা জানো না ?
- অ ! রাজশেখর বসুর ডাকনাম যে ফটিক, সেটা জানতাম ! তবে, আপনি এমনভাবে বললেন, যেন আপনার কতকালের চেনা; পাড়ার ফটিক দা !
- তুমি সেদিনের ছোকরা, তোমার জানা নেই । ওনার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল !
সত্য কম্পুর একটা বেমক্কা কাশি ঠিক এই সময়ে । ক্ষেতু বাগচী বললেন- বিষম খেলে নাকি হে সত্য ?
- না না ! গলায় একটা মশকুইটো ঢুকসে । তাই এই কাফ্ ।
- তুমি কি মশা খাও নাকি ?
- নো নো চ্যার । ঢুইক্যা গেলে, খাবার মনে কইর্যা ইট করি
- কানমলা,গলাধাক্কা,চিমটি,গাট্টা...এগুলোও তো খাবার জিনিষ....খাবে ?
- আমার হেড অত ষ্ট্রং না স্যার ! পেটও না ।
- কে বলেছে ? ভালো খাবার না পেলে তুমি বাড়ী মাথায় তোলো, আবার বলছ তোমার মাথা আর পেট শক্ত নয় ?
- হুম ! ফটিক দা কি বলতেন জান ?
- কি ?
- মাননীয় ভদ্রমহিলা ও ভদ্রলোকগণ
এবং আর সবাই যাঁদের এপাড়ায় বাস,
মন দিয়ে শুনুন আমার অভিভাষণ,
আজ আমাদের আলোচ্য-Eat more grass ।
- এটা তিনি বলেছিলেন ?
- লিখেছিলেন, বুঝলে হে ! তোমাদের মত ছাগলদের জন্য লিখেছিলেন ।
- উনি তো কেমিস্ট্রিতে এম .এস. সি তাই না ক্ষেতুদা ? ডাঃ চন্দন ভাদুড়ীর জিজ্ঞাসা !
- হ্যাঁ ! তবে এম.এ. । রাজশেখরের পড়াশোনা- দ্বারভাঙ্গা স্কুল, পাটনা কলেজ । এম. এ – রসায়নে, তখন এম এস সি ছিল না । প্রথম হলেন, ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ।
- বাপরে !
- আজকালকার লোকেদের মত কোনো ঘ্যাম ছিল না ! এই তারক মোত্তিরের যেমন ঘ্যাম ! ব্যাটা, বাংলায় এম. এ । একটা বাস দুর্ঘটনা হলে, যে কটা লোক আহত হয়, তার এইটটি পার সেন্ট বাংলায় এম.এ । ও আবার আমায় উচ্চারণ শেখাতে এসেছে ! ফুঃ !
- দেখুন, ক্ষেতুদা ! আমি কিন্তু আপনাকে সাবধান করছি । আমাকে বারবার এরকম হ্যাটা করবেন না ! বাংলায় এম.এ করেছেন- এরকম জ্ঞানী- গুণী জন প্রচুর!
- তা ঠিকই বলেছ হে ! আমার পি এইচ ডি করা আছে অঙ্কে । তোমার থেকে আমার ডিগ্রি অনেক বেশী ! তোমাকে হ্যাটা করে, আমার প্রেস্টিজ নষ্ট হচ্ছে ।
- পাবলিক হেলথ ডিগ্রী ?
- চোপ চন্দন ! আমি ডক্টরেট !
- ও ! ঠিক ঠিক ।
নাটু লাহিড়ী ঢুকে বললেন – গর্মী হো ইয়া বরসাত/ ক্ষেতুদা, তারকদাকো সাথ ! আজ আবার কি হলো ?
- ডিগ্রী নিয়ে ওয়ার্ড হত্যাছে । সাথে পুণ্দে,টিকস্ । সত্য কম্পুর জবাব !
- পুণ্দেটিকস্ ?
- ওটা ফোনেটিক্স ! তবে, ক্ষেতুদা যেভাবে আমাকে হ্যাটা করছেন, তাতে পুণ্দেটিকস্ টাই ঠিক । সত্য, কথায় কথায় ইংরেজি বলে বটে; তবে আজ একেবার ঠিক বলেছে । - তারক মোত্তিরের গলা অভিমানে গম্ভীর ।
- অ ! তা আমারও একটা এইরকম অভিজ্ঞতা আছে । ডিগ্রীর পিষ্টিজ ।
- কিরকম ?
- বলবো ? ক্ষেতুদা কি পারমিশন দেবেন ?
- বল হে । আজ আমার মুড নেই ! তুমিই বল ! আমি বললে তো সবার গলায় আবার মশা ঢোকে ।
- দিস, হোয়াট আফনে স্ফিক ক্ষেতু চ্যার ? মশকুইটো এনটার করেছিল তো মাইন গলায় । ওই ফ ছিল আইটক্যা, ফইটক্যার সময় । আফনে ক্যান আ্যংগ্রি ?
- ছাড়ান দাও সত্য ! বল হে নাটু ! – ক্ষেতু বাগচী এবারে উদার ।
- তাহলে শুরু করি ?
- হ্যাঁ, হ্যাঁ , শুরু করুন – সবাই সম্মতি দিলেন ।
ফ্যাকসারু আর আকালু- দুই বন্ধু । তাদের আর এক বন্ধু, সরু ! সরু এদের মধ্যে গ্র্যাজুয়েট । ফ্যাকসারু আর আকালু ম্যাট্রিকের ওপরে আর যেতে পারে নি । সরু, তাই এদের একটু এড়িয়েই চলে ।
এলাকার বিধায়ক স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক । এই তিনজনকেই তিনি তাঁর স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র দিলেন ।
ফ্যাকসারু আর আকালু পেলো প্রাথমিক শিক্ষকের পদ । সরু হলো সহকারী শিক্ষক, উঁচু ক্লাসে পড়ানোর জন্য ।
একদিন সরু স্কুলে আসার পথে দেখতে পেল- ফ্যাকসারু আর আকালু সাইকেল দুটো আমগাছে ঠেসান দিয়ে রেখে, চিৎকার করে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করেই চলেছে ।
সরু, অন্য রাস্তা ধরে জোরে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে ঢুকেই সটান প্রধান শিক্ষকের ঘরে । হাঁপাতে, হাঁপাতে বর্ণনা দিল ফ্যাকসারু আর আকালুর ঝগড়ার বিবরণ প্রধান শিক্ষককে।
চুপ করে শুনে তিনি বললেন – তোমার সহকর্মীদের ঝগড়া থামানো তোমার উচিত ছিল । এলাকার লোকেরা এইসব দেখছে । তার একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে ছাত্র আর অভিভাবকদের মধ্যে ।
সরু গম্ভীর ভাবে বলল- কি যে বলেন, স্যার ! আমি হলাম গিয়ে গ্র্যাজুয়েট আর ওরা হল গিয়ে ম্যাট্রিক পাশ । আমি ওদের অনেক ওপরে ! ওদের ঝগড়া থামাবো আমি ? আমার প্রেষ্টিজ নেই ?
শেষ করে তিনি ক্ষেতুদার মুখের দিকে তাকালেন ।
ক্ষেতু বাগচী কোনো কথা না বলে, আড্ডা থেকে ওয়াক আউট করলেন ।
তুমি থামত হে, তারক ! যত্তসব ফ্যাদরা প্যাঁচাল পাড় সবসময় – ক্ষেতু বাগচী গর্জে উঠলেন ।
চন্দন ডাক্তার গলার স্টেথোটা খুলে বলল- তারকদাকে আবার আক্রমণ কেন, ক্ষেতুদা?
তারক মোত্তির উত্তর দিলেন – তুমি কল থেকে ফেরার আগে, ক্ষেতুদা বলছিলেন- ভারতের অর্থনীতির বেশ্যায়ন হয়েছে। আমি খালি বলেছি- শব্দটার উচ্চারণ হবে, বিশ্বায়ন । তাতেই , ক্ষেতুদা ফায়ার ।
কবি বদরী সান্যাল মিনমিন করে বললেন- উচ্চারণের বিধি আছে নাকি ?
আলবৎ আছে, ফোনেটিক্স একটা সাবজেক্ট বাই ইটসেল্ফ – তারক মোত্তিরের জবাব ।
থামো হে ! “উরুশ্চারণ” কথাটা তো ফটিক দাই বলে গেছেন । ক্ষেতুদা আরও ক্ষেপে চুর ।
ফটিক দা কে ? তারক বাবুর ভুরু কুঁচকে জিজ্ঞাসা ।
- আমাদের রাজুদা, মানে রাজশেখর বসুর ডাক নাম । তারক, তুমি তো বাংলা পড়াতে ! এটা জানো না ?
- অ ! রাজশেখর বসুর ডাকনাম যে ফটিক, সেটা জানতাম ! তবে, আপনি এমনভাবে বললেন, যেন আপনার কতকালের চেনা; পাড়ার ফটিক দা !
- তুমি সেদিনের ছোকরা, তোমার জানা নেই । ওনার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল !
সত্য কম্পুর একটা বেমক্কা কাশি ঠিক এই সময়ে । ক্ষেতু বাগচী বললেন- বিষম খেলে নাকি হে সত্য ?
- না না ! গলায় একটা মশকুইটো ঢুকসে । তাই এই কাফ্ ।
- তুমি কি মশা খাও নাকি ?
- নো নো চ্যার । ঢুইক্যা গেলে, খাবার মনে কইর্যা ইট করি
- কানমলা,গলাধাক্কা,চিমটি,গাট্টা...এগুলোও তো খাবার জিনিষ....খাবে ?
- আমার হেড অত ষ্ট্রং না স্যার ! পেটও না ।
- কে বলেছে ? ভালো খাবার না পেলে তুমি বাড়ী মাথায় তোলো, আবার বলছ তোমার মাথা আর পেট শক্ত নয় ?
- হুম ! ফটিক দা কি বলতেন জান ?
- কি ?
- মাননীয় ভদ্রমহিলা ও ভদ্রলোকগণ
এবং আর সবাই যাঁদের এপাড়ায় বাস,
মন দিয়ে শুনুন আমার অভিভাষণ,
আজ আমাদের আলোচ্য-Eat more grass ।
- এটা তিনি বলেছিলেন ?
- লিখেছিলেন, বুঝলে হে ! তোমাদের মত ছাগলদের জন্য লিখেছিলেন ।
- উনি তো কেমিস্ট্রিতে এম .এস. সি তাই না ক্ষেতুদা ? ডাঃ চন্দন ভাদুড়ীর জিজ্ঞাসা !
- হ্যাঁ ! তবে এম.এ. । রাজশেখরের পড়াশোনা- দ্বারভাঙ্গা স্কুল, পাটনা কলেজ । এম. এ – রসায়নে, তখন এম এস সি ছিল না । প্রথম হলেন, ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ।
- বাপরে !
- আজকালকার লোকেদের মত কোনো ঘ্যাম ছিল না ! এই তারক মোত্তিরের যেমন ঘ্যাম ! ব্যাটা, বাংলায় এম. এ । একটা বাস দুর্ঘটনা হলে, যে কটা লোক আহত হয়, তার এইটটি পার সেন্ট বাংলায় এম.এ । ও আবার আমায় উচ্চারণ শেখাতে এসেছে ! ফুঃ !
- দেখুন, ক্ষেতুদা ! আমি কিন্তু আপনাকে সাবধান করছি । আমাকে বারবার এরকম হ্যাটা করবেন না ! বাংলায় এম.এ করেছেন- এরকম জ্ঞানী- গুণী জন প্রচুর!
- তা ঠিকই বলেছ হে ! আমার পি এইচ ডি করা আছে অঙ্কে । তোমার থেকে আমার ডিগ্রি অনেক বেশী ! তোমাকে হ্যাটা করে, আমার প্রেস্টিজ নষ্ট হচ্ছে ।
- পাবলিক হেলথ ডিগ্রী ?
- চোপ চন্দন ! আমি ডক্টরেট !
- ও ! ঠিক ঠিক ।
নাটু লাহিড়ী ঢুকে বললেন – গর্মী হো ইয়া বরসাত/ ক্ষেতুদা, তারকদাকো সাথ ! আজ আবার কি হলো ?
- ডিগ্রী নিয়ে ওয়ার্ড হত্যাছে । সাথে পুণ্দে,টিকস্ । সত্য কম্পুর জবাব !
- পুণ্দেটিকস্ ?
- ওটা ফোনেটিক্স ! তবে, ক্ষেতুদা যেভাবে আমাকে হ্যাটা করছেন, তাতে পুণ্দেটিকস্ টাই ঠিক । সত্য, কথায় কথায় ইংরেজি বলে বটে; তবে আজ একেবার ঠিক বলেছে । - তারক মোত্তিরের গলা অভিমানে গম্ভীর ।
- অ ! তা আমারও একটা এইরকম অভিজ্ঞতা আছে । ডিগ্রীর পিষ্টিজ ।
- কিরকম ?
- বলবো ? ক্ষেতুদা কি পারমিশন দেবেন ?
- বল হে । আজ আমার মুড নেই ! তুমিই বল ! আমি বললে তো সবার গলায় আবার মশা ঢোকে ।
- দিস, হোয়াট আফনে স্ফিক ক্ষেতু চ্যার ? মশকুইটো এনটার করেছিল তো মাইন গলায় । ওই ফ ছিল আইটক্যা, ফইটক্যার সময় । আফনে ক্যান আ্যংগ্রি ?
- ছাড়ান দাও সত্য ! বল হে নাটু ! – ক্ষেতু বাগচী এবারে উদার ।
- তাহলে শুরু করি ?
- হ্যাঁ, হ্যাঁ , শুরু করুন – সবাই সম্মতি দিলেন ।
ফ্যাকসারু আর আকালু- দুই বন্ধু । তাদের আর এক বন্ধু, সরু ! সরু এদের মধ্যে গ্র্যাজুয়েট । ফ্যাকসারু আর আকালু ম্যাট্রিকের ওপরে আর যেতে পারে নি । সরু, তাই এদের একটু এড়িয়েই চলে ।
এলাকার বিধায়ক স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক । এই তিনজনকেই তিনি তাঁর স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র দিলেন ।
ফ্যাকসারু আর আকালু পেলো প্রাথমিক শিক্ষকের পদ । সরু হলো সহকারী শিক্ষক, উঁচু ক্লাসে পড়ানোর জন্য ।
একদিন সরু স্কুলে আসার পথে দেখতে পেল- ফ্যাকসারু আর আকালু সাইকেল দুটো আমগাছে ঠেসান দিয়ে রেখে, চিৎকার করে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করেই চলেছে ।
সরু, অন্য রাস্তা ধরে জোরে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে ঢুকেই সটান প্রধান শিক্ষকের ঘরে । হাঁপাতে, হাঁপাতে বর্ণনা দিল ফ্যাকসারু আর আকালুর ঝগড়ার বিবরণ প্রধান শিক্ষককে।
চুপ করে শুনে তিনি বললেন – তোমার সহকর্মীদের ঝগড়া থামানো তোমার উচিত ছিল । এলাকার লোকেরা এইসব দেখছে । তার একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে ছাত্র আর অভিভাবকদের মধ্যে ।
সরু গম্ভীর ভাবে বলল- কি যে বলেন, স্যার ! আমি হলাম গিয়ে গ্র্যাজুয়েট আর ওরা হল গিয়ে ম্যাট্রিক পাশ । আমি ওদের অনেক ওপরে ! ওদের ঝগড়া থামাবো আমি ? আমার প্রেষ্টিজ নেই ?
শেষ করে তিনি ক্ষেতুদার মুখের দিকে তাকালেন ।
ক্ষেতু বাগচী কোনো কথা না বলে, আড্ডা থেকে ওয়াক আউট করলেন ।
5 কমেন্টস্:
শুরুতে রস আছে দেখে পুরোটা পড়লাম। ভেবেছিলাম গরমের বিকেল, ভাল একগ্লাস ঘোল খাব। দেখলাম শেষ দিকটা বরফের টুকরোগুলো ঘোলটাকে একটু পানসা করেছে।
(রামকৃষ্ণদা ভুল হলে ক্ষমা করবেন )
পাঠকের প্রতিক্রিয়া সব সময় স্বাগত !
এবার থেকে চেষ্টা করবো , পানসে না করার !
অনেকদিন পরে নির্মল হাসির আস্বাদ পেলাম। ভালো লাগলো।
ঘনাদার হাস্যরসের স্বাদ পেলাম আবার । খুব ভালো লাগলো ।
রামকৃষ্ণবাবু, আপনার লেখা আমি নিয়মিত পড়ি। আমি চাই আপনি আমার ব্লগেও নিয়মিত লিখুন। লিঙ্ক দিলাম, একবার ভিজিট করুন এবং লিখুন : www.choroibeti-banglablog.blogspot.com
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন