মুম্বাই দূর্গা পূজা:ভালো লাগা দশ
অনুপ দত্ত
অক্টোবর মাস! বর্ষার মেঘ সরে গিয়ে মুম্বাই শহরে এক স্বস্তির নি:স্বাস নিয়ে আসে! কথায় বলে....'মুম্বাই কা বরিস...বাদল কি গর্দিশ'! সমস্ত আকাশ এক নীল সুবর্ণ ফুরফুরে আবহাওয়া নিয়ে আসে! মহারাষ্টের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান 'গণপতি বাপ্পা মোরিয়া' শুরু হয়ে যায়....চলে প্রায় সাত দিন I সঙ্গে থাকে নবরাত্রীর ঝলমলে অনুষ্ঠান...রঙ্গী বেরঙ্গি পোশাক...মেলামেশা...আর পপুলার ডান্ডিয়া নাচ !
নবরাত্রির সাথে সাথে এক অঘোষিত আওয়াজ মুম্বাই পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে ...'আমাদের মা আসছেন '! বলিউড বাঙালি সমাজে এক সাজো সাজো রব পড়ে যায়! সাজো সাজো বলছি একারণে....বাস্ত সিনেমা ..সুটিং ..ডাবিং'এর থেকে নিশ্চিন্তে চার দিন সময় বের করে নেয়া ...প্রোগ্রাম গুলো কে আগে পিছে করে একটা সমঝোতায় নিয়ে আসা.... চিত্র পরিচালক আর প্রযোজক দের কাছ থেকে...বেশ দুরহ ব্যাপার .কিন্তু মন স্থির থাকলে সেটা করে নিতে হয় আরকি ! তা না হলে পুরো বছর টা কলকাতা ছেড়ে দূর্গা পূজার যে আমেজ টা নষ্ট হয়ে যায় ! সিনেমা পাড়ায় বেশ উত্সব উত্সব ভাব নিয়ে আসে..যেমন বিপাশা /রানী/মৌসুমী/কাজল/তানিশা/জয়া/ অমিতাভ/অভিজিত/অনুরাগ/আরো অনেকে ...এদের এক বিশেষ ধারা থাকে দূর্গা পূজা পান্ডালে /যেন মুখিয়ে থাকে রূপোলি পর্দা থেকে বেড়িয়ে জনসাধারণে মেশার তাগাদায় / পুজোর এক সপ্তাহ আগে থেকেই মুখে একটা 'No Work' বোর্ড যুলিতে রাখে এরা ! হিন্দিতে একটা কথা আছে..'ঠেক'! মুম্বাই বলিউডের আর্টিস্ট দের সে রকম কিছুটা 'ঠেক' আছে...যেমন বিপাশা যাবে রানীর পুজোতে ! জয়া /অমিতাভ/ঐশ্বর্য /অভিষেক যাবে রামকৃষ্ণ মিশনের পুজেতে! উঠতি আর্টিস্ট যারা ভাগ্য নির্ধারণের জন্য মুম্বাই আস্তানা নেন তারা বশীর ভাগ যান অভিজিতের লোখান্দবলার পূজাতে ! সব মিলিয়ে বেশ ঘরোয়া ব্যাপার সেজে উঠে চারিদিক! কমবেশি প্রায় ১০০ টা পুজো হয় মুম্বাই/থানে/নভি মুম্বাই মিলে !
প্রায় ২৫ বছর ধরে আমি মুম্বাইয়ের দূর্গা পূজা দেখে আসছি ....পরিবর্তন নজরে পড়েছে...অনেক !পরিবর্তনশীল জগতে সেটাই নিয়ম ....কিন্তু সেই সব পরিবর্তনের ভেতর থেকে খুব সাধারণ এবং জনপ্রিয় দশটা ভালো লাগা যদি সাজিয়ে নিতে হয়...তা হলো ..............
· ১) পূজা মন্ডপ : কলকাতা থেকে একটা আলাদা নিজস্ব স্বরূপ আছে এখানকার পূজা মন্ডপ গুলোর ! বেশে বড়সড় ( কয়েকটা ছাড়া) ! আলোর রসনায় খুব বেশি না ! এক সঙ্গে প্রায় অনেক লোক ঠাকুর দেখতে পারা !
· ২) দোকানদারী : প্রায় প্রত্যেক পূজা মন্ডপে কলকাতা থেকে নিয়ে আসা বিশেষ পণ্যর দোকান বসে ! তাঁতের শাড়ী / ঢাকাই শাড়ী / নতুন বই প্রকাশন কলকাতা /মাটির গহনা শান্তিনিকেতনের /মিষ্টি দই আর সর্বপরি বাঙালি বিখ্যাত রসগোল্লা ......
· ৩) ধুপচি/ ধুনুচি নাচ : কলকাতার বাইরে এসে ছোটবেলার দেখা সেই অসাধারণ ধুপচি / ধুনুচি নাচের আসর এখানে বসে মোটামুটি প্রত্যেক পুজো উত্সবে ! লাল পেড়ে শাড়ী পড়ে মহিলারাও এতে অংশ নেন বেশ সরবে এবং গৌরবে! সচেয়ে বড় কথা হলো...কোনো কোনো পান্ডালে এর প্রতিযোগিতাও হয় !
· ৪) খিচুরী ল্যাবরা প্রসাদ : ভোগ খাওয়ার নামে এ এক অদ্ভুত উপভোগ মুম্বাই শহরের পুজো গুলোতে ! পুজোর সব কতদিন মুম্বাই বাঙালিদের রান্নাঘর তালাচাবি দিয়ে রাখেন গিন্নীরা !খোলবার জো নেই...এমন কি পারলে সকালের ব্রেক ফাস্ট না করতে পারলে তারা যেন বড় খুশি হন আর কি ! প্রত্যেক দুপুরে খিচুরী ভোগ আর লাবরা তরকারী...আর শেষে পায়েশ বা একটা অন্য কিছু মিস্টি ! দুপুরবেলায় লাইন দিয়ে প্রসাদ নেবার মারামারি..তারপর নিজেদের গ্রুপে ফিরে এসে খাওয়া আর আড্ডা ...ভগবান..সে এক নিরিবিছিন্ন আনন্দ আর আনন্দ! আগেই তো বলেছি..রাতেও রান্নাঘর বন্ধ তো..সন্ধেবেলা পুজো মন্ডপ ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দেখে কোথায় এক জায়গায় বসে পড়া ...হয় কলকাতা বিখ্যাত এগরোল..না হয় চিকেন রোল ..একটা হলেই হলো...খাওয়া টা বড় নয়...বড় হলো কলকাতার স্বাদ আর অফুরন্ত আড্ডা...আড্ডা..আড্ডা !আরো একটা বিশেষত লক্ষ করেছে..এই ভজন উত্সবে...হাজার হাজার অবাঙালি পূরুষ মহিলা যোগ দেন! আমার হিসেবে মহিলারা বেশি...বেশ বাঙালি মহিলার মতো শাড়ী পড়েন আরকি!
· ৫) মেলামেশা : এই এক সুন্দর সুযোগ দূর্গা পুজো উপলক্ষ্যে ...মুম্বাই'এ কাজের চাপে ..বেশি করে রোজকার অফিস যাবার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে যাবার ব্যস্ততা ..নিজেদের মেলামেশাটা প্রায় সীমিত হয়ে পড়ে! এমন হয় দেখেছি..এক সোসাইটিতে থেকেও দেখা সাক্ষাত হয় না বললেই চলে! পূজামন্ডপগুলো সেই মিলন স্থল হয়ে ওঠে!
· ৬) কালিবাড়ি কালচার : এখানে মোটামুটি সব কালীবাড়িতে দূর্গা পুজোর আয়োজন হয় এবং খুব সাত্ত্বিক ভাবে পুজো পালন হয় !কালিবাড়ির পুজো গুলোতে অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেবার হিড়িক দেখবার মতো !
· ৭) আভিজাত্য : মুম্বাই'এ সমস্ত বাঙালী সমাজের একটা বিশেষ আভিজাত্য আছে...সে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রীই হোক বা চাকুরিজীবী'ই হন ! এ কয়েকদিন এখানে বেশ নজরে পরে সেটা! পোশাক কথা বলার ভঙ্গি দেখে দুর থেকে বলে দিতে পারে কেউ উনি বাঙালী বা বাঙালিনী!
· ৮) সেলিব্রেটি দর্শন : সান্তাক্রুজ মুখার্জী বাড়ির পুজোতে ভিড় হয় রানী / কাজল কে দেখার সুবাদে বা কথা বলার সুবাদে ! লোখান্দওয়ালা পুজো মন্ডপে আলাদা একটা চার্ম থাকে...উঠতি শিল্পীদের ভিড়...দেখার জন্য
· ৯) নোতুন শিল্পী সংসদ : ১০০ ভাগ পুজো মন্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়...সন্ধে ৮ টার মধ্যে মোটামুটি একটা আধা পেট ভরা খাবার খেয়ে ..মন্ডপে সীট নিয়ে গ্রুপে বসে পড়া ...স্টেজে নতুন শিল্পীরা তাদের হয় নতুন আলব্যাম বা সিনেমা হিট গান পরিবেশন করেন! এ এক সুন্দর পরিবেশ কে কাকে টপকে আগে বেরোবে বলে....বেশ ভালো লাগে...বেশ উপভোগ করা যায় !
· ১০) বাঙ্গালীয়ানা : মুম্বাই শহর ব্যবসায়ী ভিত্তিক শহর! সারা বছর এই ব্যাণিজিক পরিবেশে থেকে তাদের নিজেদের পোশাক আশাক'ও পরিবর্তন হয়ে ওঠে! ধুতি পাঞ্জাবি বা শাড়ী ব্লাউজ পড়া পূরুষ বা মহিলা নজরে পরে না সচরাচর দৈনন্দিন জীবনে! কিন্তু পুজোর কটা দিন বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে সবাই মোটামুটি অন্তত একবার করে তাদের নিজেদের সাজান নিজেদের আদরে! আমি এমন'ও দেখেছি ...শাড়ী পড়া মহিলা অন্য চেনা মহিলাকে সন্বোধন করছেন........হাই,..হাউ আর ইউ ? পরে যখন বুঝতে পারেন ভুল হয়েছে...তখন এক অফুরন্ত হাসির রোল পুজো মন্ডপ উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। আর সেখানেই...বাঙালী ভালবাসা!
অক্টোবর মাস! বর্ষার মেঘ সরে গিয়ে মুম্বাই শহরে এক স্বস্তির নি:স্বাস নিয়ে আসে! কথায় বলে....'মুম্বাই কা বরিস...বাদল কি গর্দিশ'! সমস্ত আকাশ এক নীল সুবর্ণ ফুরফুরে আবহাওয়া নিয়ে আসে! মহারাষ্টের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান 'গণপতি বাপ্পা মোরিয়া' শুরু হয়ে যায়....চলে প্রায় সাত দিন I সঙ্গে থাকে নবরাত্রীর ঝলমলে অনুষ্ঠান...রঙ্গী বেরঙ্গি পোশাক...মেলামেশা...আর পপুলার ডান্ডিয়া নাচ !
নবরাত্রির সাথে সাথে এক অঘোষিত আওয়াজ মুম্বাই পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে ...'আমাদের মা আসছেন '! বলিউড বাঙালি সমাজে এক সাজো সাজো রব পড়ে যায়! সাজো সাজো বলছি একারণে....বাস্ত সিনেমা ..সুটিং ..ডাবিং'এর থেকে নিশ্চিন্তে চার দিন সময় বের করে নেয়া ...প্রোগ্রাম গুলো কে আগে পিছে করে একটা সমঝোতায় নিয়ে আসা.... চিত্র পরিচালক আর প্রযোজক দের কাছ থেকে...বেশ দুরহ ব্যাপার .কিন্তু মন স্থির থাকলে সেটা করে নিতে হয় আরকি ! তা না হলে পুরো বছর টা কলকাতা ছেড়ে দূর্গা পূজার যে আমেজ টা নষ্ট হয়ে যায় ! সিনেমা পাড়ায় বেশ উত্সব উত্সব ভাব নিয়ে আসে..যেমন বিপাশা /রানী/মৌসুমী/কাজল/তানিশা/জয়া/ অমিতাভ/অভিজিত/অনুরাগ/আরো অনেকে ...এদের এক বিশেষ ধারা থাকে দূর্গা পূজা পান্ডালে /যেন মুখিয়ে থাকে রূপোলি পর্দা থেকে বেড়িয়ে জনসাধারণে মেশার তাগাদায় / পুজোর এক সপ্তাহ আগে থেকেই মুখে একটা 'No Work' বোর্ড যুলিতে রাখে এরা ! হিন্দিতে একটা কথা আছে..'ঠেক'! মুম্বাই বলিউডের আর্টিস্ট দের সে রকম কিছুটা 'ঠেক' আছে...যেমন বিপাশা যাবে রানীর পুজোতে ! জয়া /অমিতাভ/ঐশ্বর্য /অভিষেক যাবে রামকৃষ্ণ মিশনের পুজেতে! উঠতি আর্টিস্ট যারা ভাগ্য নির্ধারণের জন্য মুম্বাই আস্তানা নেন তারা বশীর ভাগ যান অভিজিতের লোখান্দবলার পূজাতে ! সব মিলিয়ে বেশ ঘরোয়া ব্যাপার সেজে উঠে চারিদিক! কমবেশি প্রায় ১০০ টা পুজো হয় মুম্বাই/থানে/নভি মুম্বাই মিলে !
প্রায় ২৫ বছর ধরে আমি মুম্বাইয়ের দূর্গা পূজা দেখে আসছি ....পরিবর্তন নজরে পড়েছে...অনেক !পরিবর্তনশীল জগতে সেটাই নিয়ম ....কিন্তু সেই সব পরিবর্তনের ভেতর থেকে খুব সাধারণ এবং জনপ্রিয় দশটা ভালো লাগা যদি সাজিয়ে নিতে হয়...তা হলো ..............
· ১) পূজা মন্ডপ : কলকাতা থেকে একটা আলাদা নিজস্ব স্বরূপ আছে এখানকার পূজা মন্ডপ গুলোর ! বেশে বড়সড় ( কয়েকটা ছাড়া) ! আলোর রসনায় খুব বেশি না ! এক সঙ্গে প্রায় অনেক লোক ঠাকুর দেখতে পারা !
· ২) দোকানদারী : প্রায় প্রত্যেক পূজা মন্ডপে কলকাতা থেকে নিয়ে আসা বিশেষ পণ্যর দোকান বসে ! তাঁতের শাড়ী / ঢাকাই শাড়ী / নতুন বই প্রকাশন কলকাতা /মাটির গহনা শান্তিনিকেতনের /মিষ্টি দই আর সর্বপরি বাঙালি বিখ্যাত রসগোল্লা ......
· ৩) ধুপচি/ ধুনুচি নাচ : কলকাতার বাইরে এসে ছোটবেলার দেখা সেই অসাধারণ ধুপচি / ধুনুচি নাচের আসর এখানে বসে মোটামুটি প্রত্যেক পুজো উত্সবে ! লাল পেড়ে শাড়ী পড়ে মহিলারাও এতে অংশ নেন বেশ সরবে এবং গৌরবে! সচেয়ে বড় কথা হলো...কোনো কোনো পান্ডালে এর প্রতিযোগিতাও হয় !
· ৪) খিচুরী ল্যাবরা প্রসাদ : ভোগ খাওয়ার নামে এ এক অদ্ভুত উপভোগ মুম্বাই শহরের পুজো গুলোতে ! পুজোর সব কতদিন মুম্বাই বাঙালিদের রান্নাঘর তালাচাবি দিয়ে রাখেন গিন্নীরা !খোলবার জো নেই...এমন কি পারলে সকালের ব্রেক ফাস্ট না করতে পারলে তারা যেন বড় খুশি হন আর কি ! প্রত্যেক দুপুরে খিচুরী ভোগ আর লাবরা তরকারী...আর শেষে পায়েশ বা একটা অন্য কিছু মিস্টি ! দুপুরবেলায় লাইন দিয়ে প্রসাদ নেবার মারামারি..তারপর নিজেদের গ্রুপে ফিরে এসে খাওয়া আর আড্ডা ...ভগবান..সে এক নিরিবিছিন্ন আনন্দ আর আনন্দ! আগেই তো বলেছি..রাতেও রান্নাঘর বন্ধ তো..সন্ধেবেলা পুজো মন্ডপ ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দেখে কোথায় এক জায়গায় বসে পড়া ...হয় কলকাতা বিখ্যাত এগরোল..না হয় চিকেন রোল ..একটা হলেই হলো...খাওয়া টা বড় নয়...বড় হলো কলকাতার স্বাদ আর অফুরন্ত আড্ডা...আড্ডা..আড্ডা !আরো একটা বিশেষত লক্ষ করেছে..এই ভজন উত্সবে...হাজার হাজার অবাঙালি পূরুষ মহিলা যোগ দেন! আমার হিসেবে মহিলারা বেশি...বেশ বাঙালি মহিলার মতো শাড়ী পড়েন আরকি!
· ৫) মেলামেশা : এই এক সুন্দর সুযোগ দূর্গা পুজো উপলক্ষ্যে ...মুম্বাই'এ কাজের চাপে ..বেশি করে রোজকার অফিস যাবার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে যাবার ব্যস্ততা ..নিজেদের মেলামেশাটা প্রায় সীমিত হয়ে পড়ে! এমন হয় দেখেছি..এক সোসাইটিতে থেকেও দেখা সাক্ষাত হয় না বললেই চলে! পূজামন্ডপগুলো সেই মিলন স্থল হয়ে ওঠে!
· ৬) কালিবাড়ি কালচার : এখানে মোটামুটি সব কালীবাড়িতে দূর্গা পুজোর আয়োজন হয় এবং খুব সাত্ত্বিক ভাবে পুজো পালন হয় !কালিবাড়ির পুজো গুলোতে অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেবার হিড়িক দেখবার মতো !
· ৭) আভিজাত্য : মুম্বাই'এ সমস্ত বাঙালী সমাজের একটা বিশেষ আভিজাত্য আছে...সে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রীই হোক বা চাকুরিজীবী'ই হন ! এ কয়েকদিন এখানে বেশ নজরে পরে সেটা! পোশাক কথা বলার ভঙ্গি দেখে দুর থেকে বলে দিতে পারে কেউ উনি বাঙালী বা বাঙালিনী!
· ৮) সেলিব্রেটি দর্শন : সান্তাক্রুজ মুখার্জী বাড়ির পুজোতে ভিড় হয় রানী / কাজল কে দেখার সুবাদে বা কথা বলার সুবাদে ! লোখান্দওয়ালা পুজো মন্ডপে আলাদা একটা চার্ম থাকে...উঠতি শিল্পীদের ভিড়...দেখার জন্য
· ৯) নোতুন শিল্পী সংসদ : ১০০ ভাগ পুজো মন্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়...সন্ধে ৮ টার মধ্যে মোটামুটি একটা আধা পেট ভরা খাবার খেয়ে ..মন্ডপে সীট নিয়ে গ্রুপে বসে পড়া ...স্টেজে নতুন শিল্পীরা তাদের হয় নতুন আলব্যাম বা সিনেমা হিট গান পরিবেশন করেন! এ এক সুন্দর পরিবেশ কে কাকে টপকে আগে বেরোবে বলে....বেশ ভালো লাগে...বেশ উপভোগ করা যায় !
· ১০) বাঙ্গালীয়ানা : মুম্বাই শহর ব্যবসায়ী ভিত্তিক শহর! সারা বছর এই ব্যাণিজিক পরিবেশে থেকে তাদের নিজেদের পোশাক আশাক'ও পরিবর্তন হয়ে ওঠে! ধুতি পাঞ্জাবি বা শাড়ী ব্লাউজ পড়া পূরুষ বা মহিলা নজরে পরে না সচরাচর দৈনন্দিন জীবনে! কিন্তু পুজোর কটা দিন বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে সবাই মোটামুটি অন্তত একবার করে তাদের নিজেদের সাজান নিজেদের আদরে! আমি এমন'ও দেখেছি ...শাড়ী পড়া মহিলা অন্য চেনা মহিলাকে সন্বোধন করছেন........হাই,..হাউ আর ইউ ? পরে যখন বুঝতে পারেন ভুল হয়েছে...তখন এক অফুরন্ত হাসির রোল পুজো মন্ডপ উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। আর সেখানেই...বাঙালী ভালবাসা!
1 কমেন্টস্:
Asadharan abhigyota share korlam.. besh laglo porte...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন