আমি কবি
মৌ দাশগুপ্তা
আমি সাদা পাতায় কালো অক্ষর সাজিয়ে কবিতা কোনোদিন লিখিনি ,
শুধু অলস চোখে নিরিবিলিতে দেখে গেছি একের পর এক কবিতার জন্ম।
মনে মনে টুকে রেখেছি তাদের উৎস, উপক্রমনিকা থেকে উপসংহার।
ঘাসে পাতায় ধানের শীষের ওপর শিশিরফোঁটার শব্দ বুকে নিয়ে সেজে ওঠা
সোনালী রূপোলী সকালটা নিজেই তো ঠিক যেন-
প্রেমে - অপ্রেমে....প্রত্যাশায় মাখামাখি হয়ে লাবণ্যময়ী একটা কবিতা।
ভরন্ত বেলার,নীল আকাশে ফুটে থাকা গোছাগোছা প্রতিবাদী লাল পলাশ,
রক্তলাল শিমূল,ঠিক যেন, প্রজন্ম চত্বরের হাওয়ায় দোদুলদোলা
আগুনসেঁকা ফাগুনে কবিতার মুখপত্র।
কিংবা, মরা নদীর,বন্ধ কারখানার,খরা-অনাবৃষ্টির গল্প বলতে বলতে ঢুলে পড়া,
একটা গোটা ঝিমোনো দুপুর,যেন মনের নিভৃতে আদরে রাখা চুপবাঁশি-
মনের খোলাপাতার মনখারাপের নিরাকার কবিতা ।
যখন পাখীর ডানার আলতো ছোঁয়ায় মৌরির ফুল নীরবে ঝরে পড়ে,
শূণ্যক্ষেত, মৃত কয়লাখনি পেরিয়ে দিনের আলো দিগন্তের দিকে যাত্রা করে,
সেই অবসন্ন বিকালের মুগ্ধ-করা নীরব সুখ যেন এক ভালোবাসার কবিতা ।
আবার যখন শাঁখের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে সন্ধ্যায় নদীরঢেউ ছুঁয়ে
থের বাঁকের প্রাচীন গাছের গুঁড়িতে জমে ওঠা পরগাছায়,
চোখের সামনের স্তব্ধ রূপকথা যেন মনভোলানো এক কবিতা ।
আকাশভরা তারা দেখতে দেখতে যখন রাত গভীর হয়,
চুপিসারে যৌবনবতী আঁধার রূপবতী হয় নিয়ন আলোয়.....
তখনই জন্ম নেয় রাত্রির বুকে জীবনের গানগাওয়া কবিতা ।
আমি এক অনামা কবি একা সেইসব কবিতাদের খুঁজে নিতে
ন্তহীন পথে ঠিকানাবিহীন লেফাফা নিয়ে হেঁটে বেড়াই
সূর্য্যোদয় থেকে সূর্য্যাস্ত, কিংবা সূর্য্যাস্ত থেকে সূর্য্যোদয়,নিরন্তর,জীবনভর।।
মৌ দাশগুপ্তা
আমি সাদা পাতায় কালো অক্ষর সাজিয়ে কবিতা কোনোদিন লিখিনি ,
শুধু অলস চোখে নিরিবিলিতে দেখে গেছি একের পর এক কবিতার জন্ম।
মনে মনে টুকে রেখেছি তাদের উৎস, উপক্রমনিকা থেকে উপসংহার।
ঘাসে পাতায় ধানের শীষের ওপর শিশিরফোঁটার শব্দ বুকে নিয়ে সেজে ওঠা
সোনালী রূপোলী সকালটা নিজেই তো ঠিক যেন-
প্রেমে - অপ্রেমে....প্রত্যাশায় মাখামাখি হয়ে লাবণ্যময়ী একটা কবিতা।
ভরন্ত বেলার,নীল আকাশে ফুটে থাকা গোছাগোছা প্রতিবাদী লাল পলাশ,
রক্তলাল শিমূল,ঠিক যেন, প্রজন্ম চত্বরের হাওয়ায় দোদুলদোলা
আগুনসেঁকা ফাগুনে কবিতার মুখপত্র।
কিংবা, মরা নদীর,বন্ধ কারখানার,খরা-অনাবৃষ্টির গল্প বলতে বলতে ঢুলে পড়া,
একটা গোটা ঝিমোনো দুপুর,যেন মনের নিভৃতে আদরে রাখা চুপবাঁশি-
মনের খোলাপাতার মনখারাপের নিরাকার কবিতা ।
যখন পাখীর ডানার আলতো ছোঁয়ায় মৌরির ফুল নীরবে ঝরে পড়ে,
শূণ্যক্ষেত, মৃত কয়লাখনি পেরিয়ে দিনের আলো দিগন্তের দিকে যাত্রা করে,
সেই অবসন্ন বিকালের মুগ্ধ-করা নীরব সুখ যেন এক ভালোবাসার কবিতা ।
আবার যখন শাঁখের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে সন্ধ্যায় নদীরঢেউ ছুঁয়ে
থের বাঁকের প্রাচীন গাছের গুঁড়িতে জমে ওঠা পরগাছায়,
চোখের সামনের স্তব্ধ রূপকথা যেন মনভোলানো এক কবিতা ।
আকাশভরা তারা দেখতে দেখতে যখন রাত গভীর হয়,
চুপিসারে যৌবনবতী আঁধার রূপবতী হয় নিয়ন আলোয়.....
তখনই জন্ম নেয় রাত্রির বুকে জীবনের গানগাওয়া কবিতা ।
আমি এক অনামা কবি একা সেইসব কবিতাদের খুঁজে নিতে
ন্তহীন পথে ঠিকানাবিহীন লেফাফা নিয়ে হেঁটে বেড়াই
সূর্য্যোদয় থেকে সূর্য্যাস্ত, কিংবা সূর্য্যাস্ত থেকে সূর্য্যোদয়,নিরন্তর,জীবনভর।।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন