
বিষয় রবীন্দ্রনাথ – একটি প্রবন্ধ
রাজর্ষি ঘোষ
নিঃশব্দ যা কিছু ঝর্ঝরে ঝরা পাতা যাক উড়ে যাক।
তবে বৈশাখ, তবে শিহরণ হোক একান্ত গোপন...
গোপন যেমন শিমূলের বীজ নিরালা হাওয়ায়;
গোপন সেই গোপনীয়তাকে বলে দিও রাজি আছি আমি,
রাজি আছি নিঃসঙ্গ হতে।
রাজি আছি কারণ যে ক্লান্ত নির্ঝর থেমে যায় মুক্তধারার পথে
বাঁকে বাঁকে সে ভাঙে পাখির হৃদয়।
ঝোরো পাখি, ঝুরো পাখি,
যে পাখি গুঁড়ো গুঁড়ো উড়ে এল বৈশাখ বিকেলে
আমার ছায়াঘেরা বারান্দার কোলে
তাকে চিনতে পারিনি হীরামন।
একটু আলো আলো কিছু রেলিঙের ধার
রাজর্ষি জানে ছায়াপথ ইতিকথা...
নীহারিকা, গ্রহরাজি, কিংবা কালবৈশাখী
অথবা এলোকেশী নারীর কাহিনী।
তবে সে উপাখ্যানও আলমারির ধুলোমাখা তাকে
খুঁজে পায় ধ্রুবতারা গোপন আঁতাতে।
ওই তাকে চুপি চুপি লেখা আছে ভাসা মেঘ মলিন মলাটে
রোদজল চিলেকোঠা জানে সে বিষণ্ণ ঈশ্বর
আর জানে চুপকথা,
রূপকথা ঘেরা সে আঠারো খন্ড
একান্তে নীরব রবীন্দ্রনাথ।
২
বস্তুত ক্লান্ত,
রাজর্ষি বিশ্রাম নেবে এইবার।
প্রবাহিনী যা যা ভেসে এল
সে নয় শুধু আমার মেলাঙ্কলিয়া।
হয়ত সত্যি কথা,
তবে যে হৃদয় খুঁজেছিল কোপাইয়ের তীর
ভিড় ভেঙে তারা পেল
তারা তারা রাতে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন