১৪ মে, ২০১৩

কবিতা - প্রিয় চক্রবর্তী

একটি কবিতা কোলাজ ও নবাঙ্কুর
প্রিয় চক্রবর্তী


সকাল জুড়ে সাদা মেঘের ওড়না,
রোদ ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক,
রাঙামাটির সকালে মেঘবালিকার হাওয়া চড়কি।
ঘাসের ফাঁকে বৈশাখী ঘুম,
হিংসুটি চীলের অবাধ্য ছায়া,
ধু-ধু মাঠের সামিয়ানায় বেপড়োয়া ইচ্ছের দাপাদাপি।

কবিতায় নিজের কথা লিখবো বলে
কলম নিয়ে ডায়েরীকে সাজাতে বসেছিলাম,
পেরিয়ে আরব সাগর, সাহারা
বুঝলাম বাড়মুডা ট্রায়াঙ্গেলের থেকেও রহস্যময় আমি।

কবিতাটা ঠিক কবিতা হলেও
তা আমার জন্য ছিলনা,
হয়তো তোমার অথবা কারোর।

শহরের মাঝরাতে দুটো অনুকরনের চোখ,
একটা সম্পর্কের পশ্চিমি জেরক্স,
দামি সিগারেট ধোঁয়ায় একটা অবুঝ পোর্ট্রেটের
দাম্ভিক হাসি।

কবিতা তুমি আমায় এখানেই থামাতে পারতে,
কিন্তু থামাতে পারোনি আমায়
অথবা থামতে পারিনি আমি।

আমি সভ্যতার হাজার বছরের ঘুম,
ঘুমিয়ে আছি সমুদ্র বা বালির কোলে।
আমি পরাজিত সৃষ্টি,
আমি নিপিড়ীত কৃষ্টি,
আমি অহিংসার বাইশের লাশ,
আমি ছিন্নভিন্ন সর্বনাশের গ্রাস।

আমি নবাঙ্কুর হতে চেয়েছিলাম,
হতে চেয়েছিলাম শতাব্দীর প্রথম ভোর,
হতে চেয়েছিলাম দুঃখ চোর।

অবশেষে ধরা পড়েছি সাদা-পালক চুরীর অপরাধে।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন