প্রণয় জালে জোছনা বিহার
প্রিয়াংকা ময়ী দেবী
মন খারাপের সাথে অনেক মাথা ব্যথা, সময়ের সাথে এমন আচরণ মানায় না। জীবনের এতোটা বছর একসাথে এভাবে পার করলাম, তারপরও মাঝে মাঝে এমন আচরণ সত্যি বেমানান। আকাশের তারারাও আজ আমার মত একা, বড্ড একা। তাই চাঁদের বহু দূরত্বে তাদের অবস্থান। চাঁদের জোছনা খেলে যায় আমার বারান্দায়, পুরো ঘরে নাচন ধরায়, সাথে শোয়ার খাটও বাদ যায় না। এভাবে আর কতটা রাত একা কাটানো যায়, ভুলতো মানুষ করে তাই বলে এমন আচরণ করা লাগে? আমাকে এভাবে ভুলে থাকতে পারে আমি কখনোই তা কল্পনা করিনি। জিদ আছে বটে, এতদিন শুধু আমার জিদ দেখেছিলাম, এখন আমার বাচ্চাসুলভ পাগলটাকে দেখছি, সঙ্গে জিদ। ঘুমটা অনেক আগেই ছুটি নিয়েছে। রাত আসলেই খাবলে খায় অন্ধকার। সেই স্কুল-কলেজ লাইফ এখন অনার্স, সেকি আর কম সময়। তারপরও মনে হয় বিয়ের আগেও পরে অনেক তফাৎ। অনেক ভালবাসে আমাকে তা না হলে এইভাবে এতোটা সময়, কত ঝড় তুফান মাড়িয়ে সুপার গ্লু’র মত লেগেছিল আমার পিছে। আমার এমন কি গুণ দেবতুল্য মানুষটিকে পাওয়ার। তারপরও এতোটা অকাল সময়ের মধ্যে ছায়া, ভালোবাসা দিয়ে ঘিরে রেখেছে তা আর বলার কি অপেক্ষা আছে। অবশ্যই আমি যতই বলি না কেন, আমিই তার পৃথিবী, আমাকে ছাড়া সে কখনোই থাকতে পারে নি পারবেও না ।
এরকম সময়ে একদিন বসে ছিলাম বেলকনির হুইল চেয়ারে। এবং সাথে ছিল জোছনা বিহার। হঠাৎ কাঁধে একটা হাত, বুঝলাম এসেছে আমার পাগলটা । শুধু তার জন্যই এইরকম ব্লাউজ পড়তে হয় , যাতে পিঠটার দেখা মেলে। এসেই গাড়ে একটা আলতো চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে। হাতে দু’কাপ কফি। বলে ওহে! আমার পাগলী সোনা, ধরেন রাজা আপনার জন্য বানিয়েছে, খান- খান বংশের মেয়ে বলে কথা। কফি হাতে পিঠে অনেক ক্ষুধার্ত দু’টো ঠোঁটের স্পর্শ অনুভব করলাম , আর প্রতিদিনকার পাগলের মত আমায় জড়িয়ে ধরে আমার কাঁধে মাথা দিয়ে একসাথে জোছনা দেখতে লাগলাম। ঘরে হাল্কা ভলিউমে চলছে রবীন্দ্র-
“ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায়, বাজায় বাঁশি ভালোবাসি.........”।।
এতোটা ভালোবাসে এমন পাগল আমার জীবনে আরেকটা দেখছি কিনা সন্দেহ। মাঝে মাঝে আবার কিসব আবোল-তাবোল বলে বেড়ায়-
এই পাগলের এইরকম বহু পাগলামি আমাকে সহ্য করতে হয় সময়ে অসময়ে। জড়িয়ে ধরা স্টাইলে আমাকে বলে- জানো আমার পাগলী, জানো আমার ‘ঠিলা’। আসলে আমার নাম মিথিলা, তাই দুস্টমি করে বলে ঠিলা। একদিন তুমি আর আমি ওই নীলিমায় মিলাব আর জোছনা বিহারে গা ভিজাব। কি বল পাগলী আমার?
একদিন বিকেলে তুমি আর আমি ঘুরতে বেরুবো। প্রতিদিনকার চেয়ে একটু ভিন্ন ভাবে। ধরো তুমি পাঞ্জাবী পরবে, কালো-শাদা যেকোন ধরণের। আমি একটা শাদা ছোপের কালো শাড়ি পরবো। বড় গলার ব্লাউজ যেটা তোমার খুবই পছন্দের তারপর কানে লম্বা দুল, আর হাতে সাতরঙা চুড়ি, চুল থাকবে বাঁধা। আর তুমি তাতে একটা কদম গুঁজে দিবে। এই ভাবে কোন নদীর পাড়ে হাত ধরে সূর্যাস্ত দেখবো। এবং কেউ একজন পিছন থেকে আমাদের ছবি তুলবে ।। মজা হবে না ।।
ঘড়ি তে তখন রাত ৩.৩০ । বাহিরের শিউলি আর চাঁপা গন্ধে মনটা ভরে গেল, মদির নেশার মত খুঁজে তোমাকে। ঘরে তখনো বাজছে গান, এখন চলছে অর্ণব এর-
“মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরকাল কেন পাই না”।
না আর রাগ করা নয়, ভালবাসার মানুষের কাছে জেতা হারা কিছুই নয় । জিতলেও কি হারলেও কি ? বালিশের পাশ হতে মোবাইল নিয়ে টেক্সট –এ গিয়ে লিখলাম-
ভালো তো, ভালো না , খুব ভালো ... যেটা আমি চেয়েছি । থাকো তোমার পার্ট নিয়ে ।। ভালোবাসি তো , ভালবাসতাম তো , আমি কি করবো আমার মাথা যে এমন তা তো তুমি জানো । সরি ... সরি বলছি তো ... সরি ...
তারপর মোবাইল ফেলে বিছানায় গেলাম ঘুমাতে...। সঙ্গে সঙ্গে দেখি রিপ্লে-
হা ভালো খুবি ভালো , ভালো না। পাগলী আমার তাইলে বুঝেছে এতদিন পর। ভালবাসায় এমন পাগলামি না থাকলে কি মানায়... চলুক এইভাবে অফুরান এইভাবে ।
চোখে তখন টলমলে জল , আর মনে পরছে রবীন্দ্র নাথের সেই লাইন –
মন খারাপের সাথে অনেক মাথা ব্যথা, সময়ের সাথে এমন আচরণ মানায় না। জীবনের এতোটা বছর একসাথে এভাবে পার করলাম, তারপরও মাঝে মাঝে এমন আচরণ সত্যি বেমানান। আকাশের তারারাও আজ আমার মত একা, বড্ড একা। তাই চাঁদের বহু দূরত্বে তাদের অবস্থান। চাঁদের জোছনা খেলে যায় আমার বারান্দায়, পুরো ঘরে নাচন ধরায়, সাথে শোয়ার খাটও বাদ যায় না। এভাবে আর কতটা রাত একা কাটানো যায়, ভুলতো মানুষ করে তাই বলে এমন আচরণ করা লাগে? আমাকে এভাবে ভুলে থাকতে পারে আমি কখনোই তা কল্পনা করিনি। জিদ আছে বটে, এতদিন শুধু আমার জিদ দেখেছিলাম, এখন আমার বাচ্চাসুলভ পাগলটাকে দেখছি, সঙ্গে জিদ। ঘুমটা অনেক আগেই ছুটি নিয়েছে। রাত আসলেই খাবলে খায় অন্ধকার। সেই স্কুল-কলেজ লাইফ এখন অনার্স, সেকি আর কম সময়। তারপরও মনে হয় বিয়ের আগেও পরে অনেক তফাৎ। অনেক ভালবাসে আমাকে তা না হলে এইভাবে এতোটা সময়, কত ঝড় তুফান মাড়িয়ে সুপার গ্লু’র মত লেগেছিল আমার পিছে। আমার এমন কি গুণ দেবতুল্য মানুষটিকে পাওয়ার। তারপরও এতোটা অকাল সময়ের মধ্যে ছায়া, ভালোবাসা দিয়ে ঘিরে রেখেছে তা আর বলার কি অপেক্ষা আছে। অবশ্যই আমি যতই বলি না কেন, আমিই তার পৃথিবী, আমাকে ছাড়া সে কখনোই থাকতে পারে নি পারবেও না ।
- আপা চা দিবো ?
- না
- কিছুই তো খান নি, এক কাপ কফি দেই?
- না বললাম তো , কিছুই খাব না। তুই গিয়ে ঘুমিয়ে পড় আর দরজা বন্ধ কিনা দেখে নিস।
- আপা ভাইয়া আইব না, আর আপনেরে কিছু না খাওয়াই ঘুমাইলে বকা দিব, আপাগো না হয় এক গ্লাস দুধ দেই ?
- না আর কয়বার বলব, যা তুই এখন, ডিস্টার্ব করিস না ।
- আইছছা ।
এরকম সময়ে একদিন বসে ছিলাম বেলকনির হুইল চেয়ারে। এবং সাথে ছিল জোছনা বিহার। হঠাৎ কাঁধে একটা হাত, বুঝলাম এসেছে আমার পাগলটা । শুধু তার জন্যই এইরকম ব্লাউজ পড়তে হয় , যাতে পিঠটার দেখা মেলে। এসেই গাড়ে একটা আলতো চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে। হাতে দু’কাপ কফি। বলে ওহে! আমার পাগলী সোনা, ধরেন রাজা আপনার জন্য বানিয়েছে, খান- খান বংশের মেয়ে বলে কথা। কফি হাতে পিঠে অনেক ক্ষুধার্ত দু’টো ঠোঁটের স্পর্শ অনুভব করলাম , আর প্রতিদিনকার পাগলের মত আমায় জড়িয়ে ধরে আমার কাঁধে মাথা দিয়ে একসাথে জোছনা দেখতে লাগলাম। ঘরে হাল্কা ভলিউমে চলছে রবীন্দ্র-
“ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায়, বাজায় বাঁশি ভালোবাসি.........”।।
এতোটা ভালোবাসে এমন পাগল আমার জীবনে আরেকটা দেখছি কিনা সন্দেহ। মাঝে মাঝে আবার কিসব আবোল-তাবোল বলে বেড়ায়-
“চল না সই জোছনা বিহারে,
নীলিমা হারিয়েছে যে পাহাড়ে ।
সেই আবেগে ভাসবো তুমি আর আমি ,
সাক্ষী থাকবে শুধু অন্তর্যামী”।
নীলিমা হারিয়েছে যে পাহাড়ে ।
সেই আবেগে ভাসবো তুমি আর আমি ,
সাক্ষী থাকবে শুধু অন্তর্যামী”।
এই পাগলের এইরকম বহু পাগলামি আমাকে সহ্য করতে হয় সময়ে অসময়ে। জড়িয়ে ধরা স্টাইলে আমাকে বলে- জানো আমার পাগলী, জানো আমার ‘ঠিলা’। আসলে আমার নাম মিথিলা, তাই দুস্টমি করে বলে ঠিলা। একদিন তুমি আর আমি ওই নীলিমায় মিলাব আর জোছনা বিহারে গা ভিজাব। কি বল পাগলী আমার?
- আমি আর কি বলব, পাগল যা বলে তা মানতে হয়, না হলে স্ক্রু যে ঢিলা আছে তা খুলে পড়ে যাবে। অনিন্দ্য একটা কথা বলি?
- একটা কথা বলে তো দিয়েছ, আচ্ছা বল।
একদিন বিকেলে তুমি আর আমি ঘুরতে বেরুবো। প্রতিদিনকার চেয়ে একটু ভিন্ন ভাবে। ধরো তুমি পাঞ্জাবী পরবে, কালো-শাদা যেকোন ধরণের। আমি একটা শাদা ছোপের কালো শাড়ি পরবো। বড় গলার ব্লাউজ যেটা তোমার খুবই পছন্দের তারপর কানে লম্বা দুল, আর হাতে সাতরঙা চুড়ি, চুল থাকবে বাঁধা। আর তুমি তাতে একটা কদম গুঁজে দিবে। এই ভাবে কোন নদীর পাড়ে হাত ধরে সূর্যাস্ত দেখবো। এবং কেউ একজন পিছন থেকে আমাদের ছবি তুলবে ।। মজা হবে না ।।
- হা হা , দারুণ মজা হবে আর জটিল হবে ।
- যা ফাজিল সবসময় এইরকম করা মানায় না?
- কই আমি আবার কি করলাম , আমি শুধু সম্মতি দিয়েছি । হা যাবো একদিন ।।
ঘড়ি তে তখন রাত ৩.৩০ । বাহিরের শিউলি আর চাঁপা গন্ধে মনটা ভরে গেল, মদির নেশার মত খুঁজে তোমাকে। ঘরে তখনো বাজছে গান, এখন চলছে অর্ণব এর-
“মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরকাল কেন পাই না”।
না আর রাগ করা নয়, ভালবাসার মানুষের কাছে জেতা হারা কিছুই নয় । জিতলেও কি হারলেও কি ? বালিশের পাশ হতে মোবাইল নিয়ে টেক্সট –এ গিয়ে লিখলাম-
ভালো তো, ভালো না , খুব ভালো ... যেটা আমি চেয়েছি । থাকো তোমার পার্ট নিয়ে ।। ভালোবাসি তো , ভালবাসতাম তো , আমি কি করবো আমার মাথা যে এমন তা তো তুমি জানো । সরি ... সরি বলছি তো ... সরি ...
তারপর মোবাইল ফেলে বিছানায় গেলাম ঘুমাতে...। সঙ্গে সঙ্গে দেখি রিপ্লে-
হা ভালো খুবি ভালো , ভালো না। পাগলী আমার তাইলে বুঝেছে এতদিন পর। ভালবাসায় এমন পাগলামি না থাকলে কি মানায়... চলুক এইভাবে অফুরান এইভাবে ।
চোখে তখন টলমলে জল , আর মনে পরছে রবীন্দ্র নাথের সেই লাইন –
‘ভালবেসে সখি নিভৃত যতনে, আমার নামটি লিখ তোমার মনের মন্দিরে”।
1 কমেন্টস্:
“চল না সই জোছনা বিহারে,
নীলিমা হারিয়েছে যে পাহাড়ে ।
সেই আবেগে ভাসবো তুমি আর আমি ,
সাক্ষী থাকবে শুধু অন্তর্যামী”।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন