১৪ মে, ২০১৩

রবীন্দ্রশ্রদ্ধার্ঘ - লাভলী ভট্টাচার্য্য

কোলাজে রবীন্দ্রনাথ
লাভলী ভট্টাচার্য্য



(১)
কৈশোর, যৌবন, পেরিয়ে জীবনের ঠিক শেষ প্রান্তে
কেটে যাওয়া সুখ দুঃখের দিনান্তে, অরুণিমার ম্লান অবশেষে
আবেশটুকু ভুলিয়ে, সুস্পষ্টের মত জেগে ওঠা আমার ভোর
স্মৃতিবিস্মৃতির নানা বর্ণে রঞ্জিত, এক অব্যক্ত সৌরভ
একটু রোদ আর একটু ছায়ায় মোড়া বদ্ধ জীবনের ,দিলাম ছুটি
লক্ষ্যহীন পথে,সহজে দেখবো সব দেখা, স্তব্ধ আমার দিবারাত্রি
কোলাহলের পথ ছাড়িয়ে ,হারাবো ,সুদূরবিস্তীর্ণ বৈরাগ্যে
পুরাতন প্রাণের সব মায়া নিয়ে ,এই সহজ প্রবাহ,মৃদুতালের ছন্দে
দিনান্তের অবসানে, আজ অলস মনে, আকণ্ঠ ডুব দেবো,নিস্তরঙ্গ জলে
মৃত্যু হবে চেতনার, মুক্তি পাবে প্রাণ, নতুন একটি নবজাতকের ক্রন্দনে
সার্থক কবিগুরুর বাণী ,চিন্তাহীন তর্কহীন শাস্ত্রহীন মৃত্যু-মহাসাগরসংগমে।

(২)
কথায় কথায় দ্বন্দ বেড়ে যায়,অকারনে মিছে শুধু কলহ
একতারাতে সুর বেঁধে গাই, রাত জেগে থাকে নিয়ে বিরহ।

দেখতে আসিস সেই-যে বীণা বাজে কিনা আজও হৃদয়ে
তারগুলি তার ধুলায় ধুলায় গেছে কি ঢেকে বিনা কারনে?

অধরা মাধুরী ধরি তখন ,আকাশ ও যে জানে, আমি সেই রাতের তারা
খানিক বাদে অশ্রু মুছে বলিস হেসে, আমি সেই তোমারই খুব চেনা ।

পথ-হারানোর লাগলো নেশা,অচিন দেশে এবার আমার যাবার পালা
তিন মাথার মোড়ে তখন, এক পলকের দেখা,চোখে চোখ রাখা।

আবার দেখি রাগ ধরিস,আর একটু বেশী হলে ক্ষতি কি, বোলোতো ?
ফেরার পথে গুন গুনিয়ে ,আবার হবে গো দেখা এ দেখাই শেষ দেখা নয়তো।

সে বীণা আজি উঠিল বাজি আবার হৃদয়মাঝে,ভুবন আমার ভরিল সুরে
বিরহ মিলন মিলে গেল আজ নয়নে আমার সমান সকল সাজে ।।

সে যেন মোর চিরদিনের চাওয়া ,সেইটুকুতেই জাগায় দখিন হাওয়া
তার সাথে তো সেই কবের দেখা , সে যে আমার প্রথম যুগের চেনা ।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন