অনিন্দিতার গল্প
ইমেল নাঈম
ও হচ্ছে অনিন্দিতা ! ওর কথাই তো জানতে চাচ্ছিলেন আমার কাছে । তার সাথে পরিচয় আমার ছয় মাসের মত , মধ্য ত্রিশের এক সুদর্শনা রমণী । বসুন আস্তে ধীরে খুলে বলি , কে এই অনিন্দিতা ? আর কেনই বা এসেছে এখানে ?
মেয়েটি প্রাণ খুলে ভালবাসতে পারতো , ভালবেসেছিল সুজন নামের এক ছেলেকে । তারা এক সাথে আট বছর কাটালেও বিয়ে করে নি .… বাকি সবকিছুই করেছিল বিবাহিতদের মতন । এরই মধ্যে তাদের ঘর আলো করে এলো সুমনা .… এভাবেই কাটছিল সময় । পুং লিঙ্গের মন সময়ের সাথে বদলে যায় ! সুজন সম্পর্ক জড়ায় তার অফিসের কলিগ রেশমার সাথে সাথে । অতঃপর যা হবার তাই হল , অনিন্দিতার মনে সন্দেহ .… সন্দেহ থেকে বিচ্ছেদ … ওদিকে সুমনাও চলে গেল বিলেতে চাচীর বাসাতে ।
… এরপরও মেয়েটি আবার ভালবেসেছিল .… ভালবেসেছিল সুদীপ্ত নামের এক পাঞ্জাবি ছেলেকে , সেই সম্পর্কটি টিকেছিল পাঁচ বছরের মত । সুদীপ্ত কি সত্যি তাকে ভালবেসেছিল কিনা কেউ আমায় কিছু জানায় নি , তবে এটা জেনেছি সুদীপ্ত সাহস করে তার পরিবারকে জানিয়েছিল অনিন্দিতার কথা । কিন্তু জাতিতত্ত্বের যাঁতাকল দিয়ে ভালবাসাকে পিষ্টে ফেললেন সুদীপ্তর মা আর সুদীপ্ত পরিবারের অবাধ্য হল না । এরপর থেকেই অনিন্দিতা আমার এখানেই থাকে , ছয় মাসের আন্তরিকতায় সে এইটুকুন সুস্থ আর হয়তো মাস দুয়েক লাগবে তাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে ।
আরে মশাই কী ভাবছেন এতো ! ও প্রান্ত থেকে জবাব এলো , '' অনিন্দিতা না হয় দু মাসের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাবে কিন্তু ম্যান্টালি ডিস অর্ডার হয়ে যাওয়া সমাজটাকে , সুস্থ করে তুলতে কত মাস লাগবে ডাক্তার সাহেব ? ''
ও হচ্ছে অনিন্দিতা ! ওর কথাই তো জানতে চাচ্ছিলেন আমার কাছে । তার সাথে পরিচয় আমার ছয় মাসের মত , মধ্য ত্রিশের এক সুদর্শনা রমণী । বসুন আস্তে ধীরে খুলে বলি , কে এই অনিন্দিতা ? আর কেনই বা এসেছে এখানে ?
মেয়েটি প্রাণ খুলে ভালবাসতে পারতো , ভালবেসেছিল সুজন নামের এক ছেলেকে । তারা এক সাথে আট বছর কাটালেও বিয়ে করে নি .… বাকি সবকিছুই করেছিল বিবাহিতদের মতন । এরই মধ্যে তাদের ঘর আলো করে এলো সুমনা .… এভাবেই কাটছিল সময় । পুং লিঙ্গের মন সময়ের সাথে বদলে যায় ! সুজন সম্পর্ক জড়ায় তার অফিসের কলিগ রেশমার সাথে সাথে । অতঃপর যা হবার তাই হল , অনিন্দিতার মনে সন্দেহ .… সন্দেহ থেকে বিচ্ছেদ … ওদিকে সুমনাও চলে গেল বিলেতে চাচীর বাসাতে ।
… এরপরও মেয়েটি আবার ভালবেসেছিল .… ভালবেসেছিল সুদীপ্ত নামের এক পাঞ্জাবি ছেলেকে , সেই সম্পর্কটি টিকেছিল পাঁচ বছরের মত । সুদীপ্ত কি সত্যি তাকে ভালবেসেছিল কিনা কেউ আমায় কিছু জানায় নি , তবে এটা জেনেছি সুদীপ্ত সাহস করে তার পরিবারকে জানিয়েছিল অনিন্দিতার কথা । কিন্তু জাতিতত্ত্বের যাঁতাকল দিয়ে ভালবাসাকে পিষ্টে ফেললেন সুদীপ্তর মা আর সুদীপ্ত পরিবারের অবাধ্য হল না । এরপর থেকেই অনিন্দিতা আমার এখানেই থাকে , ছয় মাসের আন্তরিকতায় সে এইটুকুন সুস্থ আর হয়তো মাস দুয়েক লাগবে তাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে ।
আরে মশাই কী ভাবছেন এতো ! ও প্রান্ত থেকে জবাব এলো , '' অনিন্দিতা না হয় দু মাসের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাবে কিন্তু ম্যান্টালি ডিস অর্ডার হয়ে যাওয়া সমাজটাকে , সুস্থ করে তুলতে কত মাস লাগবে ডাক্তার সাহেব ? ''
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন