রোমান কবিতার স্বর্ণযুগ ও লুক্রেৎসিউস্
সুদীপ নাথ
খ্রিষ্ট-পূর্ব প্রথম শতকের প্রারম্ভে, প্রাচীন রোমে বহু প্রতিভাবান কবি বসবাস করতেন। এঈ সময়কে রোমের কবিতার স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রোমান সাহিত্যের অজস্র রচণার মধ্যে সবচেয়ে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে যে কাব্যটি, তার নাম DE RERUM NATURA যার বাংলা প্রতিশব্দ “বস্তুপ্রকৃতি সম্বন্ধে”।
খ্রিষ্ট-পূর্ব ১ম শতকের, একাধারে বিজ্ঞানী এবং কবি, তিতুস লুক্রেৎসিউস্ কারুস ( Titus Lucretius Carus ) এই কাব্যের রচয়িতা। তার জীবিত কাল খ্রিষ্ট-পূর্ব ৯৯ অব্দ থেকে ৫৫ অব্দ। তৎকালীন সময়ের তুলনায়, অতিশয় আধুনিক এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকৃতি ও মানুষের ইতিহাস এই কাব্যটিতে লিপিবদ্ধ হয়েছিল।
তার ধারণা অনুযায়ী প্রকৃতি অণু দ্বারা গঠিত। তারা পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে নক্ষত্র, পৃথিবী, জীবিত প্রাণীকূল, এমন কি মানুষের আত্মা পর্যন্ত নির্মাণ করেছে। তিনি আত্মার অমরত্ব ও পরলোক অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বুঝিয়েছেন যে, মানুষ যে আগুন, লোহা, চাষবাসের কলাকৌশল হাতে পেয়েছে তা, কোনও দৈবী করুণার দান নয়। মানুষ নিজের শ্রম দ্বারাই তা অর্জন করেছে।
ধর্মকে লুক্রেৎসিউস্ লাগামের সাথে তুলনা করেছেন, যে লাগাম, মানুষের চিন্তার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে। ধর্ম উদ্ভবের কারণ হিসেবে তিনি মনে করতেন, প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞানতা ও ভয়। বজ্রপাত, ভুমিকম্প, মানুষের নিদ্রার কারণগুলোর তিনি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছেন। লুক্রেৎসিউস্ তার রচণা পদ্যাকারে তার কাব্য DE RERUM NATURA-তে লিখে ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছেন।
খ্রিষ্ট-পূর্ব প্রথম শতকের প্রারম্ভে, প্রাচীন রোমে বহু প্রতিভাবান কবি বসবাস করতেন। এঈ সময়কে রোমের কবিতার স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রোমান সাহিত্যের অজস্র রচণার মধ্যে সবচেয়ে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে যে কাব্যটি, তার নাম DE RERUM NATURA যার বাংলা প্রতিশব্দ “বস্তুপ্রকৃতি সম্বন্ধে”।
খ্রিষ্ট-পূর্ব ১ম শতকের, একাধারে বিজ্ঞানী এবং কবি, তিতুস লুক্রেৎসিউস্ কারুস ( Titus Lucretius Carus ) এই কাব্যের রচয়িতা। তার জীবিত কাল খ্রিষ্ট-পূর্ব ৯৯ অব্দ থেকে ৫৫ অব্দ। তৎকালীন সময়ের তুলনায়, অতিশয় আধুনিক এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকৃতি ও মানুষের ইতিহাস এই কাব্যটিতে লিপিবদ্ধ হয়েছিল।
তার ধারণা অনুযায়ী প্রকৃতি অণু দ্বারা গঠিত। তারা পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে নক্ষত্র, পৃথিবী, জীবিত প্রাণীকূল, এমন কি মানুষের আত্মা পর্যন্ত নির্মাণ করেছে। তিনি আত্মার অমরত্ব ও পরলোক অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বুঝিয়েছেন যে, মানুষ যে আগুন, লোহা, চাষবাসের কলাকৌশল হাতে পেয়েছে তা, কোনও দৈবী করুণার দান নয়। মানুষ নিজের শ্রম দ্বারাই তা অর্জন করেছে।
ধর্মকে লুক্রেৎসিউস্ লাগামের সাথে তুলনা করেছেন, যে লাগাম, মানুষের চিন্তার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে। ধর্ম উদ্ভবের কারণ হিসেবে তিনি মনে করতেন, প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞানতা ও ভয়। বজ্রপাত, ভুমিকম্প, মানুষের নিদ্রার কারণগুলোর তিনি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছেন। লুক্রেৎসিউস্ তার রচণা পদ্যাকারে তার কাব্য DE RERUM NATURA-তে লিখে ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছেন।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন