ভোলামন মন রে
জয়তী ভট্টাচার্য্য
বচ্ছরে এই একবার ''টেচকি'' চাপে দাস পরিবার ! দাস বাবু, দাসগিন্নি, আর ওনাদের তিন ছেলে মেয়ে ।
প্রত্যেক বছর ছেলেমেয়ের ইশকুলে বড়দিনের ছুটিতে যখন পুরী যাওয়া হয় দিন চারেকের জন্য । তা এই বছরেও দাস পরিবারের এই বাত্সরিক পুরী ভ্রমন এর কোনো ব্যাত্যয় হয় নি । হাবরা (হাওড়া আর কি) ইষ্টিশন থেকে জগন্নাথ এক্সপ্রেসে চেপে এবারেও প্রতিবছরের মত ওরা যাবে পুরী । “জয় জগন্নাথ !!” বলে বেরিয়ে পড়া গেল । প্রতিবারের মত এবারেও মালপত্তর একটু বেশি রকমের বেশি হয়ে গেছে । দাস পরিবারের কর্তা গিন্নি ট্রাভেল লাইট কি জিনিস জানেন না, জানলেও মানেন না । সঙ্গে প্রচুর জামাকাপড়,শীতের চাদর ,বাচ্চাদের গরম জামা, জলের বোতল,'' টিফিন কেরি ''। সব মিলিয়ে সঙ্গের জিনিসপত্র এক্কেবারে গন্ধমাদন হয়ে উঠেছে! তাতেই সুখ ! কম জিনিস পত্র নিয়ে বেড়াতে যাওয়া আবার কেমন ধারা বেড়াতে যাওয়া ? বিদেশ বিভুই জায়গায় গিয়ে অসুখবিসুখ যদি করে ,তার জন হরেক রকমের ওষুধপত্র, সে-ও ভুল হয়না ! তা এবারেও দাস পরিবার, যথারীতি হরেক আকারের বাক্স প্যাঁটরা সঙ্গে নিয়ে , দশ বছরের আর চার বছরের দুটি ছেলে,আর সাত বছরের একটি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন,হাওড়া ইষ্টিশনের দিকে ।''টেচকি ''তে ফাইনালি চাপার আগে দাসবাবু তিনবার ফিরে গেলেন,দরজা খুলে বাড়ির ভিতরে গেলেন, সব ঘরের আলো গিন্নি শেষ মুহুর্তে নেভাতে ভুলে গেছেন কিনা দেখে নিলেন,ফ্রিজ অফ হয়েছে কিনা,গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ করেছে কিনা,এই দেখো কান্ড,বাড়তি পড়ে থাকা কটা মাছের টুকরো পাশের বাড়ির ফ্রিজে রাখতে পাঠাবে ভেবে কৌটোয় রেখে শেষ অবধি ভুলে গিয়ে রান্নাঘরের তাকে রেখে সাত তাড়াতাড়ি গিন্নি গিয়ে টেচকি তে চেপে বসে আছে । সংসারে একটুও যদি মন থাকে ! সেই কৌটো নিয়ে বেড়িয়ে ছোট ছেলের হাতে পাশের বাড়িতে রেখে আসতে পাঠালেন, গিন্নিকে মৃদুমন্দ একটু ধমক লাগিয়ে । ধমকের ডোজ বেশি হলে, সেখানে পৌঁছে ,রাত্রে ছেলেপুলেগুলো ঘুমুলে রাত্রিকালীন সুখটি মাটি,বিদ্রোহিনী হয়ে উঠবেন গিন্নি । শেষ পর্য্যন্ত রওনা হওয়া গেল ! ''টেচকি'' একটু করে এগোয় আর দাসবাবুর ইটা মনে পড়ে সেটা মনে পড়ে।
- ওষুধ নিতে ভোলোনিতো ?
- “টিপিনকেরি”টা কে নিল ? টেচকির ডিকিতে ভুলে রেকে দাওনি তো ?
গিন্নির সরোষ জবাব ধেয়ে আসে বুলেট এর মত ,
- ''নারে বাবা , ওই তো মিনির হাতে ধরা আছে , দেখতে পাচ্ছ না ?''
- ''তপনকে বলেছ ? রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে চলে যাবার সময়ে পাখা আলো সব যেন ঠিকঠাক নিবিয়ে যায় ?''
এবারেও গিন্নির বুলেট বর্ষণ ,
- ''হ্যারে বাবা ! গতবার ভুলে গেছিল বলে কি এবারেও ? আমার ভাই অত ভুলো নয় , বরঞ্চ সেই যে সেবার ঠাকুরপো কি করেছিল মনে নেই তোমার?''
- ''কি করেছিল?''
- ''তা মনে থাকবে কেন? এ যে তোমার নিজের ভাই, গ্যাস নেভাতে ভুলে গেছিল , সকালে উঠে চা করে খেয়ে গাস্ত জ্বেলে রেখে চলে গেছিল''-
- ''তাতে কি? আমরা তো সেদিন ভোরবেলায় ফিরে এসেছিলাম ,বেশি গ্যাস খরচ হয়নি''
- তা আমার ভাই পাখা নেবাতে বুলে গেলেই বা তাইলে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে শুনি ?''
- ''যাকগে যাকগে যেতে দাও দিকিনি , দুদিনের জন্য বেড়িয়ে আর অত টেনচন করতে হবে না, জগন্নাথ দেব এর কৃপায় সব দেকবে ঠিকঠাক থাকবে !''
গিন্নি হাত জোড় করে মহা ভক্তি ভরে কপালে ঠেকালেন, দেখাদেখি কর্তাও ! তিন ছেলেমেয়ে আপাতত মা-বাবার সন্ধি স্থাপনে খানিকটা নিশ্চিন্ত হলো যেন ! পৌঁছে গেছে হাওড়া ,ট্যাক্সি থেকে সব একে একে নামানো হলো,বাক্স,প্যাঁটরা ,লটবহর,গোনাগুনি করে কুলির মাথায় চাপানোর আগে প্রচুর দরকষাকষি চলল ! অবশেষে একসময়ে জগন্নাথ এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়ে রওনা হলো ! গিন্নি জোড় হাত কপালে ঠেকিয়ে বললেন,
- ''দুগ্গা-দুগ্গা,কালি-কালি শিব-শিব !''
কর্তা বললেন,
- ''টিফিন কেরি ?''
ছোট ছেলে বলল
- '' আমি কিন্তু রাত্তিরে ওপরে ঘুমুবো বলে দিলুম ''!
ট্রেন ছুটছে, দাসবাবু কেমন যেন উশখুশ করছেন,একবার উঠে দরজার কাছে যাচ্ছেন, ফিরে আসছেন,বসছেন, উঠছেন , পাশে সহযাত্রীরা বিরক্ত হচ্ছেন,গিন্নি বললেন,
- ''এমন করছ কেন? একটু স্থির হয়ে বোসো দিকিন!''.....
দাসবাবুর দোনামোনা সুরে জবাব,
- ''না ,আসলে মনেহচ্ছে, শেষ বার বেরোনোর সময়ে আমি সদর দরজায় তালা লাগাতে ভুলে গেছি''....
- ''সেকি কথা?এইত,দরজার চাবির গোছা আমার বাগে আছে ''...
- ।না''না ,চাবি তোমার হাতে দিয়েছি সে আমার মনে আছে কিন্তু দরজায় তালা লাগাতে ভুলে গেছি ,পরিস্কার মনে পড়ছে''........
- ''তপনকে একবার ফোন করে দেখো,সাইকেল নিয়ে ছুট্টে গিয়ে দেখে এসে ফোন করতে বলো''......
তাই করলেন দাসবাবু, ফোন সুইচড অফ্ ! ...
- ।''ঠাকুরপো কে করো !” …..
- ’’ফোন তুলছেনা,বোধহয় বাড়িতে ফোনটা ফেলে রেখে গেছে!’’………………………..!!’
- ’নাঃ নাঃ ! আর এগিয়ে যাওয়া ঠিক হবেনা,চলো সব নেমে পড়ি,বাড়ি ফিরি ,এরপর যেখানে ট্রেন থামবে নেমে পড়ব’’….
ট্রেন থামলে সপরিবারে নেমে আবার হাওড়ামুখী লোকাল ট্রেনে চেপে হাওড়া । ছেলেমেয়েরা কাঁদো-কাঁদো,এবছরের পুরী যাওয়া মাঠে মারা গেল,গিন্নী রেগে আগুন,সারাপথ স্পিকটি নট । বাড়ির দরজায় ট্যাক্সি এসে থামল,কর্তা ট্যাক্সির ভাড়া মেটাচ্ছেন, বড় ছেলে দৌড়ে গিয়ে ফিরে এল…
- ’’ওমা ! ওবাবা !! দরজায় তো ডবল তালা দেওয়াই আছে !’’
গিন্নী ঝাঁঝঁ করে উঠলেন,
- ’’তখুনি আমি বলেছিলুম !’’………
’’কর্তার মৃদু প্রতিবাদ,
- ’’তুমি অমনি বলেছিলে?’’…………..
গিন্নীর রাগত জবাব,
- ’’ওসব ছেড়ে এখন গুনে গুনে মালপত্তর নামাও দিকিন’’!
- ট্যাক্সিড্রাইভারকে ডিকি খুলতে বলতে গিয়ে দাসবাবুর মনে পড়ল ডিকিতে চারটে সুটকেস তোলাই হয়নি,সেগুলো ট্রেনে সিটের তলাতেই রয়ে গেছে ! মেয়ে বড় সাধের লুচি আলুরদম ভরা ‘’টিফিনকেরি’’হাতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে !
বচ্ছরে এই একবার ''টেচকি'' চাপে দাস পরিবার ! দাস বাবু, দাসগিন্নি, আর ওনাদের তিন ছেলে মেয়ে ।
প্রত্যেক বছর ছেলেমেয়ের ইশকুলে বড়দিনের ছুটিতে যখন পুরী যাওয়া হয় দিন চারেকের জন্য । তা এই বছরেও দাস পরিবারের এই বাত্সরিক পুরী ভ্রমন এর কোনো ব্যাত্যয় হয় নি । হাবরা (হাওড়া আর কি) ইষ্টিশন থেকে জগন্নাথ এক্সপ্রেসে চেপে এবারেও প্রতিবছরের মত ওরা যাবে পুরী । “জয় জগন্নাথ !!” বলে বেরিয়ে পড়া গেল । প্রতিবারের মত এবারেও মালপত্তর একটু বেশি রকমের বেশি হয়ে গেছে । দাস পরিবারের কর্তা গিন্নি ট্রাভেল লাইট কি জিনিস জানেন না, জানলেও মানেন না । সঙ্গে প্রচুর জামাকাপড়,শীতের চাদর ,বাচ্চাদের গরম জামা, জলের বোতল,'' টিফিন কেরি ''। সব মিলিয়ে সঙ্গের জিনিসপত্র এক্কেবারে গন্ধমাদন হয়ে উঠেছে! তাতেই সুখ ! কম জিনিস পত্র নিয়ে বেড়াতে যাওয়া আবার কেমন ধারা বেড়াতে যাওয়া ? বিদেশ বিভুই জায়গায় গিয়ে অসুখবিসুখ যদি করে ,তার জন হরেক রকমের ওষুধপত্র, সে-ও ভুল হয়না ! তা এবারেও দাস পরিবার, যথারীতি হরেক আকারের বাক্স প্যাঁটরা সঙ্গে নিয়ে , দশ বছরের আর চার বছরের দুটি ছেলে,আর সাত বছরের একটি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন,হাওড়া ইষ্টিশনের দিকে ।''টেচকি ''তে ফাইনালি চাপার আগে দাসবাবু তিনবার ফিরে গেলেন,দরজা খুলে বাড়ির ভিতরে গেলেন, সব ঘরের আলো গিন্নি শেষ মুহুর্তে নেভাতে ভুলে গেছেন কিনা দেখে নিলেন,ফ্রিজ অফ হয়েছে কিনা,গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ করেছে কিনা,এই দেখো কান্ড,বাড়তি পড়ে থাকা কটা মাছের টুকরো পাশের বাড়ির ফ্রিজে রাখতে পাঠাবে ভেবে কৌটোয় রেখে শেষ অবধি ভুলে গিয়ে রান্নাঘরের তাকে রেখে সাত তাড়াতাড়ি গিন্নি গিয়ে টেচকি তে চেপে বসে আছে । সংসারে একটুও যদি মন থাকে ! সেই কৌটো নিয়ে বেড়িয়ে ছোট ছেলের হাতে পাশের বাড়িতে রেখে আসতে পাঠালেন, গিন্নিকে মৃদুমন্দ একটু ধমক লাগিয়ে । ধমকের ডোজ বেশি হলে, সেখানে পৌঁছে ,রাত্রে ছেলেপুলেগুলো ঘুমুলে রাত্রিকালীন সুখটি মাটি,বিদ্রোহিনী হয়ে উঠবেন গিন্নি । শেষ পর্য্যন্ত রওনা হওয়া গেল ! ''টেচকি'' একটু করে এগোয় আর দাসবাবুর ইটা মনে পড়ে সেটা মনে পড়ে।
- ওষুধ নিতে ভোলোনিতো ?
- “টিপিনকেরি”টা কে নিল ? টেচকির ডিকিতে ভুলে রেকে দাওনি তো ?
গিন্নির সরোষ জবাব ধেয়ে আসে বুলেট এর মত ,
- ''নারে বাবা , ওই তো মিনির হাতে ধরা আছে , দেখতে পাচ্ছ না ?''
- ''তপনকে বলেছ ? রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে চলে যাবার সময়ে পাখা আলো সব যেন ঠিকঠাক নিবিয়ে যায় ?''
এবারেও গিন্নির বুলেট বর্ষণ ,
- ''হ্যারে বাবা ! গতবার ভুলে গেছিল বলে কি এবারেও ? আমার ভাই অত ভুলো নয় , বরঞ্চ সেই যে সেবার ঠাকুরপো কি করেছিল মনে নেই তোমার?''
- ''কি করেছিল?''
- ''তা মনে থাকবে কেন? এ যে তোমার নিজের ভাই, গ্যাস নেভাতে ভুলে গেছিল , সকালে উঠে চা করে খেয়ে গাস্ত জ্বেলে রেখে চলে গেছিল''-
- ''তাতে কি? আমরা তো সেদিন ভোরবেলায় ফিরে এসেছিলাম ,বেশি গ্যাস খরচ হয়নি''
- তা আমার ভাই পাখা নেবাতে বুলে গেলেই বা তাইলে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে শুনি ?''
- ''যাকগে যাকগে যেতে দাও দিকিনি , দুদিনের জন্য বেড়িয়ে আর অত টেনচন করতে হবে না, জগন্নাথ দেব এর কৃপায় সব দেকবে ঠিকঠাক থাকবে !''
গিন্নি হাত জোড় করে মহা ভক্তি ভরে কপালে ঠেকালেন, দেখাদেখি কর্তাও ! তিন ছেলেমেয়ে আপাতত মা-বাবার সন্ধি স্থাপনে খানিকটা নিশ্চিন্ত হলো যেন ! পৌঁছে গেছে হাওড়া ,ট্যাক্সি থেকে সব একে একে নামানো হলো,বাক্স,প্যাঁটরা ,লটবহর,গোনাগুনি করে কুলির মাথায় চাপানোর আগে প্রচুর দরকষাকষি চলল ! অবশেষে একসময়ে জগন্নাথ এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়ে রওনা হলো ! গিন্নি জোড় হাত কপালে ঠেকিয়ে বললেন,
- ''দুগ্গা-দুগ্গা,কালি-কালি শিব-শিব !''
কর্তা বললেন,
- ''টিফিন কেরি ?''
ছোট ছেলে বলল
- '' আমি কিন্তু রাত্তিরে ওপরে ঘুমুবো বলে দিলুম ''!
ট্রেন ছুটছে, দাসবাবু কেমন যেন উশখুশ করছেন,একবার উঠে দরজার কাছে যাচ্ছেন, ফিরে আসছেন,বসছেন, উঠছেন , পাশে সহযাত্রীরা বিরক্ত হচ্ছেন,গিন্নি বললেন,
- ''এমন করছ কেন? একটু স্থির হয়ে বোসো দিকিন!''.....
দাসবাবুর দোনামোনা সুরে জবাব,
- ''না ,আসলে মনেহচ্ছে, শেষ বার বেরোনোর সময়ে আমি সদর দরজায় তালা লাগাতে ভুলে গেছি''....
- ''সেকি কথা?এইত,দরজার চাবির গোছা আমার বাগে আছে ''...
- ।না''না ,চাবি তোমার হাতে দিয়েছি সে আমার মনে আছে কিন্তু দরজায় তালা লাগাতে ভুলে গেছি ,পরিস্কার মনে পড়ছে''........
- ''তপনকে একবার ফোন করে দেখো,সাইকেল নিয়ে ছুট্টে গিয়ে দেখে এসে ফোন করতে বলো''......
তাই করলেন দাসবাবু, ফোন সুইচড অফ্ ! ...
- ।''ঠাকুরপো কে করো !” …..
- ’’ফোন তুলছেনা,বোধহয় বাড়িতে ফোনটা ফেলে রেখে গেছে!’’………………………..!!’
- ’নাঃ নাঃ ! আর এগিয়ে যাওয়া ঠিক হবেনা,চলো সব নেমে পড়ি,বাড়ি ফিরি ,এরপর যেখানে ট্রেন থামবে নেমে পড়ব’’….
ট্রেন থামলে সপরিবারে নেমে আবার হাওড়ামুখী লোকাল ট্রেনে চেপে হাওড়া । ছেলেমেয়েরা কাঁদো-কাঁদো,এবছরের পুরী যাওয়া মাঠে মারা গেল,গিন্নী রেগে আগুন,সারাপথ স্পিকটি নট । বাড়ির দরজায় ট্যাক্সি এসে থামল,কর্তা ট্যাক্সির ভাড়া মেটাচ্ছেন, বড় ছেলে দৌড়ে গিয়ে ফিরে এল…
- ’’ওমা ! ওবাবা !! দরজায় তো ডবল তালা দেওয়াই আছে !’’
গিন্নী ঝাঁঝঁ করে উঠলেন,
- ’’তখুনি আমি বলেছিলুম !’’………
’’কর্তার মৃদু প্রতিবাদ,
- ’’তুমি অমনি বলেছিলে?’’…………..
গিন্নীর রাগত জবাব,
- ’’ওসব ছেড়ে এখন গুনে গুনে মালপত্তর নামাও দিকিন’’!
- ট্যাক্সিড্রাইভারকে ডিকি খুলতে বলতে গিয়ে দাসবাবুর মনে পড়ল ডিকিতে চারটে সুটকেস তোলাই হয়নি,সেগুলো ট্রেনে সিটের তলাতেই রয়ে গেছে ! মেয়ে বড় সাধের লুচি আলুরদম ভরা ‘’টিফিনকেরি’’হাতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে !
1 কমেন্টস্:
প্রেরণার সব সদস্য ও পাঠক পাঠিকা কে আমার শুভেচ্ছা জানাই !!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন