আজগুবি নয়
শমীক (জয়) সেনগুপ্ত
মন ভালো নেই, কান্না পাচ্ছে বা কষ্ট হচ্ছে খুব- এ সব নিয়ে পাতায় পাতায় যে শিরশিরানী উত্তুরে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছিল ছেলেটা.. তার খবর নিতে দরজায় নক না করে ঢুকে পরলো
মাতাল পবন; আচ্ছা আজ নাকি ফুলেদের সাথেও ও কথা বলেনি! গঙ্গাফড়িং আর গুবরে পোকা কানাকানি করছে... "এটা ওর বড় বেশী দেমাক। একরত্তি ছেলে সে কি না -"
"চুপচুপ, " সাবধান করে দেয় প্রজাপতি;ছেলেটা বাঁশী হাতে ঐ পথ দিয়েই যাচ্ছে- বাঁশের বাঁশীতে সুর নেই। দুপুরের আলসেমি মেঘে মেঘে অভিমান এঁকে দিয়েছে। আমবাগানে বোল ধরতে এখনো মাস তিনেক বাকি। কিন্তু সবাই তার দিকে তাকালেও আজ তার বড্ড একা লাগছে। ছেলেটার ঠোঁটে লাল আভা, ভারী দগদগে। তাই বাঁশী তার হাতে বাজছে না। সব চুমুতেই ছ্যাঁকা পোড়া হচ্ছে মন। রোদ্দুরে পিঠ ঠেকিয়ে শক্ত চোয়ালে ছেলেটা বাঁশী আঁকড়ে
বসে আছে।
"ও ছেলে তোর পিঠে রোদ লাগছে না ?"
লাগুক।
"তোর পিঠ পুড়ছে যে-"
পুড়ুক।
"কষ্ট হয় না !!"
চোখের জল চেপে ছেলেটা বলল "আমার এখন ভারী সুখ।"
তারপর কত সময় নুড়ির ফাঁকে ফোকড় বেয়ে জল এল কুলকুলিয়ে.. শ্যাওলার সোঁদা দাগে
সবাই আমের মুকুলের অপেক্ষায় আছে । কিন্তু ছেলেটার কথা সবাই ভুলে গেছে । বুড়ো আমগাছ খালি বলল "ছেলেটা বাঁশী বাজাবে না ?"
আকাশের তারাগুলো সবাই যদি ছেলেটাকে আলো দিত না পুড়িয়ে তবে হয়ত' সুর থাকত আজ। কৃষ্ণগহ্বরে আলো থাকে না ।। যেমন অভিমানে আলো থাকে না । সেখানে কে যেন
ডাকলো " ও ছেলে-"
শব্দগুলো ব্রক্ষ্মের আকার ধারন না করেও বুদ্বুদের মত মিশুক অন্য কোন কালো বুকে- সব ডাকে সাড়া মেলে না,যেমন ভাবে সব রূপকথাই আজগুবি নয়।।
হালকা হালকা ঠান্ডা পরেছে আর আমার ঘুমে ঢুলতে থাকা চোখে
পিঁপড়ের কামড়ের মত স্বপ্নগুলো কুটকুট করছে। কথা ছিল জেগে
জেগে স্বপ্নের ওপর রঙ বুলাবো,কিন্তু সাদা কালো ক্যনভাসে আর সব রঙই বেমানান। আচ্ছা আমি না কি খুব সুন্দর হয়ে উঠি যখন ঘুমোই, আর জেগে থাকলে ভীষণ বেখাপ্পারকমের অদ্ভূত থাকে আমার মন.. আসলে আমি বুঝতে পারি না। মেঘেরা খবর চালাচালি করে রোদ বৃষ্টির ফাঁক দিয়ে আর ভুলে যদি কখনো সে খবর আমার কাছে আসে হাওয়ায় ভেসে ভেসে আমি তখন শুনে ফেলি...তবু বুঝতে পারি না।
রাতের অন্ধকারে আমার নরম তুলতুলে টেডিটাকে জড়িয়ে ভুলতে চাই নিজের অস্তিত্ব, আসলে বয়স আমায় প্রাচীণ করেনি। মন আমার জড়তাকে আকাশ বানিয়েছে..আর চিন্তাগুলোকে নদী।
আর একফালি রোদ্দুরে হাসি এলোমেলো হাওয়ার খাঁজে লুকিয়ে থাকা মন খারাপকে বলে," এই বেঁধে দিলাম রুমাল তোর দু চোখে, এবার কানামাছি ভোঁ ভোঁ.......... সুখ পেলে তবে ছোঁ ।"
সুখটা এখন অনেকটাই গরম ভাঁড়ে ঠান্ডা চায়ের মত হয়ে গেছে।
হাত জ্বলছে, এদিকে পাঞ্ছা মিয়ানো অনুভূতি। পেলাম তবু মন ভরে না। ওদিকে দুঃখটাও আরেক কাপ চা... সে হল ঠান্ডা কাপে ছ্যাঁচ্চোর গরমের মত, জিভ পুড়িয়ে জাহির করে আমি আছি।
মিয়ানো চায়ের স্বাদ পাল্টাতে অদলবদল পলিসি চলে কিন্তু পোড়া
জিভে যে ক্যান্ডিডও কাজ করে তিনদিন পর থেকে ঐ জ্বালা বোঝে কোন শালা।
আমাদের সব ভাব ভালবাসা চায়ের টেবিলেই ।।
আর সব কল্পনাই আসলে বাস্তবের নামান্তর ।।
মন ভালো নেই, কান্না পাচ্ছে বা কষ্ট হচ্ছে খুব- এ সব নিয়ে পাতায় পাতায় যে শিরশিরানী উত্তুরে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছিল ছেলেটা.. তার খবর নিতে দরজায় নক না করে ঢুকে পরলো
মাতাল পবন; আচ্ছা আজ নাকি ফুলেদের সাথেও ও কথা বলেনি! গঙ্গাফড়িং আর গুবরে পোকা কানাকানি করছে... "এটা ওর বড় বেশী দেমাক। একরত্তি ছেলে সে কি না -"
"চুপচুপ, " সাবধান করে দেয় প্রজাপতি;ছেলেটা বাঁশী হাতে ঐ পথ দিয়েই যাচ্ছে- বাঁশের বাঁশীতে সুর নেই। দুপুরের আলসেমি মেঘে মেঘে অভিমান এঁকে দিয়েছে। আমবাগানে বোল ধরতে এখনো মাস তিনেক বাকি। কিন্তু সবাই তার দিকে তাকালেও আজ তার বড্ড একা লাগছে। ছেলেটার ঠোঁটে লাল আভা, ভারী দগদগে। তাই বাঁশী তার হাতে বাজছে না। সব চুমুতেই ছ্যাঁকা পোড়া হচ্ছে মন। রোদ্দুরে পিঠ ঠেকিয়ে শক্ত চোয়ালে ছেলেটা বাঁশী আঁকড়ে
বসে আছে।
"ও ছেলে তোর পিঠে রোদ লাগছে না ?"
লাগুক।
"তোর পিঠ পুড়ছে যে-"
পুড়ুক।
"কষ্ট হয় না !!"
চোখের জল চেপে ছেলেটা বলল "আমার এখন ভারী সুখ।"
তারপর কত সময় নুড়ির ফাঁকে ফোকড় বেয়ে জল এল কুলকুলিয়ে.. শ্যাওলার সোঁদা দাগে
সবাই আমের মুকুলের অপেক্ষায় আছে । কিন্তু ছেলেটার কথা সবাই ভুলে গেছে । বুড়ো আমগাছ খালি বলল "ছেলেটা বাঁশী বাজাবে না ?"
আকাশের তারাগুলো সবাই যদি ছেলেটাকে আলো দিত না পুড়িয়ে তবে হয়ত' সুর থাকত আজ। কৃষ্ণগহ্বরে আলো থাকে না ।। যেমন অভিমানে আলো থাকে না । সেখানে কে যেন
ডাকলো " ও ছেলে-"
শব্দগুলো ব্রক্ষ্মের আকার ধারন না করেও বুদ্বুদের মত মিশুক অন্য কোন কালো বুকে- সব ডাকে সাড়া মেলে না,যেমন ভাবে সব রূপকথাই আজগুবি নয়।।
হালকা হালকা ঠান্ডা পরেছে আর আমার ঘুমে ঢুলতে থাকা চোখে
পিঁপড়ের কামড়ের মত স্বপ্নগুলো কুটকুট করছে। কথা ছিল জেগে
জেগে স্বপ্নের ওপর রঙ বুলাবো,কিন্তু সাদা কালো ক্যনভাসে আর সব রঙই বেমানান। আচ্ছা আমি না কি খুব সুন্দর হয়ে উঠি যখন ঘুমোই, আর জেগে থাকলে ভীষণ বেখাপ্পারকমের অদ্ভূত থাকে আমার মন.. আসলে আমি বুঝতে পারি না। মেঘেরা খবর চালাচালি করে রোদ বৃষ্টির ফাঁক দিয়ে আর ভুলে যদি কখনো সে খবর আমার কাছে আসে হাওয়ায় ভেসে ভেসে আমি তখন শুনে ফেলি...তবু বুঝতে পারি না।
রাতের অন্ধকারে আমার নরম তুলতুলে টেডিটাকে জড়িয়ে ভুলতে চাই নিজের অস্তিত্ব, আসলে বয়স আমায় প্রাচীণ করেনি। মন আমার জড়তাকে আকাশ বানিয়েছে..আর চিন্তাগুলোকে নদী।
আর একফালি রোদ্দুরে হাসি এলোমেলো হাওয়ার খাঁজে লুকিয়ে থাকা মন খারাপকে বলে," এই বেঁধে দিলাম রুমাল তোর দু চোখে, এবার কানামাছি ভোঁ ভোঁ.......... সুখ পেলে তবে ছোঁ ।"
সুখটা এখন অনেকটাই গরম ভাঁড়ে ঠান্ডা চায়ের মত হয়ে গেছে।
হাত জ্বলছে, এদিকে পাঞ্ছা মিয়ানো অনুভূতি। পেলাম তবু মন ভরে না। ওদিকে দুঃখটাও আরেক কাপ চা... সে হল ঠান্ডা কাপে ছ্যাঁচ্চোর গরমের মত, জিভ পুড়িয়ে জাহির করে আমি আছি।
মিয়ানো চায়ের স্বাদ পাল্টাতে অদলবদল পলিসি চলে কিন্তু পোড়া
জিভে যে ক্যান্ডিডও কাজ করে তিনদিন পর থেকে ঐ জ্বালা বোঝে কোন শালা।
আমাদের সব ভাব ভালবাসা চায়ের টেবিলেই ।।
আর সব কল্পনাই আসলে বাস্তবের নামান্তর ।।
1 কমেন্টস্:
ছোট্ট জয় লিখছে ভাবতেই ভালো লাগছে । অনেক শুভ কামনা লিখক ও সম্পাদক মণ্ডলী মহোদয়গনকে। ভালো লেগেছে সবটাই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন