দুটি কবিতা
হরিশঙ্কর রায়
একটি অপমৃত্যু ও আমি
হয়তো আমার গলিত লাশ দেখে একদিন
চিত্কার করে বলব,
এতো আমি নই?
এ আমার মুছে যাওয়া প্রতিরূপ।
যেমন করে পাথর ঝড়-বৃষ্টিতে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়,
তেমনি করে আমার স্ব-হিংস আত্মচৈতন্য বোধগুলো
উড়ে উড়ে হাওয়ায় মলিন।
যে আমার অন্তড়ালের ছিন্নভিন্ন রূপ এঁকে দিলো,
তাকে কি ঈশ্বর বলে ডাকতে পারি ?
না... !
তাকে যে নামে ডাকব বলে ঠিক করে রেখেছিলাম
সেখানেও ভেজাল ঢুকে গেছে ।
অথচ ঈশ্বর, ঈশ্বর বলে
কি করুণ আকুতি আমার ?
যে আকাশ ঠাই দিয়েছিলো,
দেখি সেখানেও যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে,
মেঘের কান্না সইতে পারি না বলে ফিরে এসেছি আমি।
এখন আগুন হয়ে জ্বলতে থাকি, পুড়তে থাকি, অর্ধগলিত লাশ হয়ে থাকতে পারি।
গণতান্ত্রিক জীবনে আমার লাশ দেখে ঈশ্বরও ভয় পেয়ে গেছে,
কারণ আমি এখন অপমৃত্যু ।
নবজাতক
হে নবযৌবন !
জন্ম দিয়ো না
নবজীবন,
কেননা এখন
সময় খুব কষ্টদায়ক।
কদম কিংবা লাল বল
ককটেল হয়ে যায়।
ঝলসানো শরীর
করুণ আর্তনাদ দেখে দেখে...
কিভাবে প্রত্যাশা করো?
বরং প্রতীক্ষা করো ।
অতঃপর...
সুরেলা বসন্তে
সৃষ্টির উল্লাসে মাতো।
নবজাতক
স্বর্গীয় হাসি হাসুক
দোদুল দুলুক
ভূবন ভুলুক
এবং ভুলুক।
হরিশঙ্কর রায়
একটি অপমৃত্যু ও আমি
হয়তো আমার গলিত লাশ দেখে একদিন
চিত্কার করে বলব,
এতো আমি নই?
এ আমার মুছে যাওয়া প্রতিরূপ।
যেমন করে পাথর ঝড়-বৃষ্টিতে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়,
তেমনি করে আমার স্ব-হিংস আত্মচৈতন্য বোধগুলো
উড়ে উড়ে হাওয়ায় মলিন।
যে আমার অন্তড়ালের ছিন্নভিন্ন রূপ এঁকে দিলো,
তাকে কি ঈশ্বর বলে ডাকতে পারি ?
না... !
তাকে যে নামে ডাকব বলে ঠিক করে রেখেছিলাম
সেখানেও ভেজাল ঢুকে গেছে ।
অথচ ঈশ্বর, ঈশ্বর বলে
কি করুণ আকুতি আমার ?
যে আকাশ ঠাই দিয়েছিলো,
দেখি সেখানেও যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে,
মেঘের কান্না সইতে পারি না বলে ফিরে এসেছি আমি।
এখন আগুন হয়ে জ্বলতে থাকি, পুড়তে থাকি, অর্ধগলিত লাশ হয়ে থাকতে পারি।
গণতান্ত্রিক জীবনে আমার লাশ দেখে ঈশ্বরও ভয় পেয়ে গেছে,
কারণ আমি এখন অপমৃত্যু ।
নবজাতক
হে নবযৌবন !
জন্ম দিয়ো না
নবজীবন,
কেননা এখন
সময় খুব কষ্টদায়ক।
কদম কিংবা লাল বল
ককটেল হয়ে যায়।
ঝলসানো শরীর
করুণ আর্তনাদ দেখে দেখে...
কিভাবে প্রত্যাশা করো?
বরং প্রতীক্ষা করো ।
অতঃপর...
সুরেলা বসন্তে
সৃষ্টির উল্লাসে মাতো।
নবজাতক
স্বর্গীয় হাসি হাসুক
দোদুল দুলুক
ভূবন ভুলুক
এবং ভুলুক।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন