বরং শ্মশানে যা
অমলেন্দু চন্দ
শুদ্ধতার করোটিতে কি থাকে – স্বর্গ আর নরক দুটোই তো আরাধ্য শক্তির কলিজাছেঁড়া পাতাবাহার। হুরপরীবাহার না দোজখের দোসরের অদৃশ্য রুপের টান - কতটা লবেজান করে ভুক্তোভুগীই জানে, আর জানে মহাজন ফেরেস্তারা। নাকি জানার ফেরেব্বাজি চলে। এদিকে যখন তখন হেঁতালের জঙ্গলে বৃশ্চিকের বিরূপতা জারিজুরির তেরটা বাজায়, সে আর এক খেউর। কোনই মামলা নেই তবু বুকের বাগানে এখন তখন সম্ভ্রমহানি’র বিচারের বসন্তউৎসব। ধমনীর যদি একটা গলা থাকত ঠিক হিস হিসে ফিস ফাস হার্ট অ্যাটাকের সংবাদ আগে ভাগে দিত।
খাঁচা বানাতে শিখিনি কখনো – ফলে মুথাঘাস চেপে ঠায় বসে থাকি, খুঁটিতে বাঁধা ছাগলের মিহি ব্যা ব্যা নিয়ে, আমিই বেট আবার আমিই শিকারী। একটা গাদা বন্দুক আছে দড়াম করবার জন্য। এই এলোমেলো জীবনমরন চারিয়ে রয়েছে শুধু লহমার প্রতীক্ষারোদ্দুর।
দাঁতাল বাকি থাকা সব বিজল্প বিস্ময়গুলো ঘড়ি আর সময়ের সঙ্গতে অস্থির ভারতনাট্যম, সারাক্ষন ফুস ফুসে চাপ থৈ থৈ। তৃষ্ণা গুলো কিছুতেই বর্ষার নদীর মত অহংকারী ডাঁটো সাটো আঁটো চেহারা ধরে না। মিটমিটে মিতব্যায়ীর মত শাসায় অত তৃষ্ণা ভাল নয়। স্পর্ধার পাল খাটাব কি শালা সিন্দবাদের ভিস্তির তাগদ টাও তো নেই। সাধ ছিল কর্কশ রোদের নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধতায় পা ডুবিয়ে আত্মদর্শনের আম্বা নিয়ে সাপের পাঁচ পা হব, হা হতোস্মি। কাঙাল মদ্যপের বাস্তুভিটে ভস্ম করে মেঘদুনিয়ার ফড়িং ওড়ানো। শুধু অবচেতনের এক গৌতমেচ্ছা ঝুলে থাকে অস্তিত্বের কিনার ছুঁয়ে – সুজাতা আসবে। আজও কিন্তু আসে নি! অথচ আশ্চর্য কোন সংস্কারের ঘোরে লালন করে যাচ্ছি একটা উপলক্ষ। নিজেকে ন্যাংটো করে আর কত দেখান যায়। তাই কষ্টটাকে জমিয়ে রাখি ওডিকলোন ছিটিয়ে।
এক একটা গানে এক একটা শব্দ উড়াল ভরে রাখে নিজের ডানায়, ধ্বনির উদ্ভাসের আর ঘোরের নোঙরে – আমি কাঙাল তবু কিছুতে মাপা হল না শুক্লা দ্বাদশীর দিনে বোষ্টুমির গাওয়া অন্তরার কারভেচার। ধীশক্তি দিতে বড় কার্পণ্য করেছ ভর্গদেব। সাধের অমূর্ত কান্নার দাপটে নোঙরবিহীন মাঝে মাঝে নিজের গহীনে গার্ড অফ অনার নিতে চলে যাই।
সমাপতনে শেষ যখন আসে তখন শেষ ততটাই অর্থপূর্ণ বা অর্থহীন যতটা যাপন ছিল। সব থাক অন্বেষণ বাচালতা উর্ণাজাল বাকসংযম বিসম্বাদ বা দ্বৈরথ কিম্বা মেরুদন্ড হিম করা স্বপ্নের শাসন। তবু অ-তুলনা শব্দটির মানে ঠিক ঠাক জানা হবে না। হে জীবন “তুমিই সৌন্দর্য আজও দু চোখে, তোমার ধ্যানেতেই মগ্ন অহর্নিশ...পরিমাপ করে যাই অনন্ত দ্রাক্ষার উৎস ঢালতে পার কতখানি বিষ (হুমায়ুন আজাদ) ”
আজকাল যখন তখন শব্দের বিভ্রমে খুব ধাঁধা লেগে যায়,
অথচ অনায়াসে যখন তখন মুঠো খুলে
এখানে নামায় কথার ভ্রমর ...
একলা খুশিতে, সব বিখ্যাত কুখ্যাত অভিমানী শিশিরের মত
টুপ টাপ লেগে থাকে সময়ের ঘাসে।
…... বৈদগ্ধের হারেমে খোজার মত বিশ্বাসী থাকবার অপচেষ্টাতেই জীবন কেটে গেল। আর্তের শিশির তুমি এ জ্যোৎস্নায় ভিজিও আমাকে – একটু ঔদাসিন্য দাও ভালেরির মত।
শুদ্ধতার করোটিতে কি থাকে – স্বর্গ আর নরক দুটোই তো আরাধ্য শক্তির কলিজাছেঁড়া পাতাবাহার। হুরপরীবাহার না দোজখের দোসরের অদৃশ্য রুপের টান - কতটা লবেজান করে ভুক্তোভুগীই জানে, আর জানে মহাজন ফেরেস্তারা। নাকি জানার ফেরেব্বাজি চলে। এদিকে যখন তখন হেঁতালের জঙ্গলে বৃশ্চিকের বিরূপতা জারিজুরির তেরটা বাজায়, সে আর এক খেউর। কোনই মামলা নেই তবু বুকের বাগানে এখন তখন সম্ভ্রমহানি’র বিচারের বসন্তউৎসব। ধমনীর যদি একটা গলা থাকত ঠিক হিস হিসে ফিস ফাস হার্ট অ্যাটাকের সংবাদ আগে ভাগে দিত।
খাঁচা বানাতে শিখিনি কখনো – ফলে মুথাঘাস চেপে ঠায় বসে থাকি, খুঁটিতে বাঁধা ছাগলের মিহি ব্যা ব্যা নিয়ে, আমিই বেট আবার আমিই শিকারী। একটা গাদা বন্দুক আছে দড়াম করবার জন্য। এই এলোমেলো জীবনমরন চারিয়ে রয়েছে শুধু লহমার প্রতীক্ষারোদ্দুর।
##
দাঁতাল বাকি থাকা সব বিজল্প বিস্ময়গুলো ঘড়ি আর সময়ের সঙ্গতে অস্থির ভারতনাট্যম, সারাক্ষন ফুস ফুসে চাপ থৈ থৈ। তৃষ্ণা গুলো কিছুতেই বর্ষার নদীর মত অহংকারী ডাঁটো সাটো আঁটো চেহারা ধরে না। মিটমিটে মিতব্যায়ীর মত শাসায় অত তৃষ্ণা ভাল নয়। স্পর্ধার পাল খাটাব কি শালা সিন্দবাদের ভিস্তির তাগদ টাও তো নেই। সাধ ছিল কর্কশ রোদের নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধতায় পা ডুবিয়ে আত্মদর্শনের আম্বা নিয়ে সাপের পাঁচ পা হব, হা হতোস্মি। কাঙাল মদ্যপের বাস্তুভিটে ভস্ম করে মেঘদুনিয়ার ফড়িং ওড়ানো। শুধু অবচেতনের এক গৌতমেচ্ছা ঝুলে থাকে অস্তিত্বের কিনার ছুঁয়ে – সুজাতা আসবে। আজও কিন্তু আসে নি! অথচ আশ্চর্য কোন সংস্কারের ঘোরে লালন করে যাচ্ছি একটা উপলক্ষ। নিজেকে ন্যাংটো করে আর কত দেখান যায়। তাই কষ্টটাকে জমিয়ে রাখি ওডিকলোন ছিটিয়ে।
###
এক একটা গানে এক একটা শব্দ উড়াল ভরে রাখে নিজের ডানায়, ধ্বনির উদ্ভাসের আর ঘোরের নোঙরে – আমি কাঙাল তবু কিছুতে মাপা হল না শুক্লা দ্বাদশীর দিনে বোষ্টুমির গাওয়া অন্তরার কারভেচার। ধীশক্তি দিতে বড় কার্পণ্য করেছ ভর্গদেব। সাধের অমূর্ত কান্নার দাপটে নোঙরবিহীন মাঝে মাঝে নিজের গহীনে গার্ড অফ অনার নিতে চলে যাই।
####
সমাপতনে শেষ যখন আসে তখন শেষ ততটাই অর্থপূর্ণ বা অর্থহীন যতটা যাপন ছিল। সব থাক অন্বেষণ বাচালতা উর্ণাজাল বাকসংযম বিসম্বাদ বা দ্বৈরথ কিম্বা মেরুদন্ড হিম করা স্বপ্নের শাসন। তবু অ-তুলনা শব্দটির মানে ঠিক ঠাক জানা হবে না। হে জীবন “তুমিই সৌন্দর্য আজও দু চোখে, তোমার ধ্যানেতেই মগ্ন অহর্নিশ...পরিমাপ করে যাই অনন্ত দ্রাক্ষার উৎস ঢালতে পার কতখানি বিষ (হুমায়ুন আজাদ) ”
#####
আজকাল যখন তখন শব্দের বিভ্রমে খুব ধাঁধা লেগে যায়,
অথচ অনায়াসে যখন তখন মুঠো খুলে
এখানে নামায় কথার ভ্রমর ...
একলা খুশিতে, সব বিখ্যাত কুখ্যাত অভিমানী শিশিরের মত
টুপ টাপ লেগে থাকে সময়ের ঘাসে।
…... বৈদগ্ধের হারেমে খোজার মত বিশ্বাসী থাকবার অপচেষ্টাতেই জীবন কেটে গেল। আর্তের শিশির তুমি এ জ্যোৎস্নায় ভিজিও আমাকে – একটু ঔদাসিন্য দাও ভালেরির মত।
######
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন