দহন
অনীক মাহমুদ
বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসবে তোমার অংশটি ছিলো সনাতন রমণীর,
তোমার আটপৌরে শাড়ী,
কুলোয় রাখা পিদিম,
চুল ছড়িয়ে আনাড়ি হাতে মাখা সিঁদুর,
অজস্র সময় বয়ে যাচ্ছে চোখে চোখে,
উৎকর্ণ কানটি পেতে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি মিনিট পনেরো,
স্টেজের পেছনটা তখন অন্ধকার,
ভ্যাপসা কাঠের গন্ধ,
আচমকা মিনতি করলে, ‘জ্বালিয়ে দেবে?
অন্ধকারে অস্বস্তি হচ্ছে’,
আমি বললাম, এখনি?
তুমি বললে ‘হু’,
আমার ঠোঁটের কোণে তখন কপট হাসি,
এরকম হিরণ্ময় নির্জনতা!
‘আর একটু কাছে এসে দাঁড়াবে?’
তুমি হাত ছাড়িয়ে বললে ‘অসভ্য’,
সেই অডিটোরিয়াম, পর্দার ওপাশে তীব্র হাততালি হই হল্লা ছাপিয়ে
কোনও ধুলোমুঠি আলো,
আমার হাতে দপ করে জ্বলে ওঠা দেশলাই,
অন্তরীক্ষের ছায়ায় কাঁপছে তোমার ঘামে ভেজা মুখ,
অমন চিমটে টেনে বের করা লুব্ধক,
চোখের মণিতে তোমার কত উৎকণ্ঠা!
‘দ্যাখো, ধরা হয়েছে ঠিকমত?
আর শাড়ীটা?’
কোনোদিন স্বর্গ দেখিনি,
তবু ঠিক চিনেছিলাম
সেই একান্ত সন্ধ্যেয় তোমার দেবীমূর্তি,
সামান্য আগুনের এতখানি সম্রাটত্ত্ব!
স্থাণুর মত দাঁড়িয়ে আমার বুক কেঁপে উঠেছিলো…
আমি ঠিক জানিনা এখন অন্ধকার দেখে
তোমার আর মামুলী দেশলাইয়ের প্রয়োজন পড়ে কিনা,
পৃথিবীর কোনও অপরিচিত বিছানায়,
হয়ত এখন তোমার ঊরুসন্ধিতে রোজ ঝলমল করে জ্বলে ওঠে জ্যোৎস্না,
আমার কথা তোমার আর মনেও পড়েনা,
আমি কিন্তু সেই আগুনটুকু আমার বুকপকেটে রেখে দিয়েছি,
কেউ জানেনা,
খুব গোপনে,
অন্ধকার এলে টের পাই,
গোপন সলতে জ্বলে……।
অনীক মাহমুদ
বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসবে তোমার অংশটি ছিলো সনাতন রমণীর,
তোমার আটপৌরে শাড়ী,
কুলোয় রাখা পিদিম,
চুল ছড়িয়ে আনাড়ি হাতে মাখা সিঁদুর,
অজস্র সময় বয়ে যাচ্ছে চোখে চোখে,
উৎকর্ণ কানটি পেতে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি মিনিট পনেরো,
স্টেজের পেছনটা তখন অন্ধকার,
ভ্যাপসা কাঠের গন্ধ,
আচমকা মিনতি করলে, ‘জ্বালিয়ে দেবে?
অন্ধকারে অস্বস্তি হচ্ছে’,
আমি বললাম, এখনি?
তুমি বললে ‘হু’,
আমার ঠোঁটের কোণে তখন কপট হাসি,
এরকম হিরণ্ময় নির্জনতা!
‘আর একটু কাছে এসে দাঁড়াবে?’
তুমি হাত ছাড়িয়ে বললে ‘অসভ্য’,
সেই অডিটোরিয়াম, পর্দার ওপাশে তীব্র হাততালি হই হল্লা ছাপিয়ে
কোনও ধুলোমুঠি আলো,
আমার হাতে দপ করে জ্বলে ওঠা দেশলাই,
অন্তরীক্ষের ছায়ায় কাঁপছে তোমার ঘামে ভেজা মুখ,
অমন চিমটে টেনে বের করা লুব্ধক,
চোখের মণিতে তোমার কত উৎকণ্ঠা!
‘দ্যাখো, ধরা হয়েছে ঠিকমত?
আর শাড়ীটা?’
কোনোদিন স্বর্গ দেখিনি,
তবু ঠিক চিনেছিলাম
সেই একান্ত সন্ধ্যেয় তোমার দেবীমূর্তি,
সামান্য আগুনের এতখানি সম্রাটত্ত্ব!
স্থাণুর মত দাঁড়িয়ে আমার বুক কেঁপে উঠেছিলো…
আমি ঠিক জানিনা এখন অন্ধকার দেখে
তোমার আর মামুলী দেশলাইয়ের প্রয়োজন পড়ে কিনা,
পৃথিবীর কোনও অপরিচিত বিছানায়,
হয়ত এখন তোমার ঊরুসন্ধিতে রোজ ঝলমল করে জ্বলে ওঠে জ্যোৎস্না,
আমার কথা তোমার আর মনেও পড়েনা,
আমি কিন্তু সেই আগুনটুকু আমার বুকপকেটে রেখে দিয়েছি,
কেউ জানেনা,
খুব গোপনে,
অন্ধকার এলে টের পাই,
গোপন সলতে জ্বলে……।
1 কমেন্টস্:
অনিকের লেখা আমার সবসময় ভাল লাগে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন