চলুন যাই দুধসাগর
প্রদীপকুমার দাস
দুধসাগর পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত জলপ্রপাতের মধ্যে একটি। এটি কর্ণাটক গোয়া সীমানায় অবস্থিত! উচ্চতায় এটি ভারতবর্ষের পঞ্চম ! প্রায় ৩০ মিটার প্রস্থের সমগ্র মান্দভি নদী ৩১০ মিটার উচ্চতা থেকে বিশাল জলরাশি নিয়ে এই জলপ্রপাতের সৃষ্টি করেছে। এই জলপ্রপাত দেখার উপযুক্ত সময় হলো বর্ষাকাল। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর।
এই জলপ্রপাতটি নিয়ে স্থানীয় একটি কল্পকথা প্রচলিত আছে, প্রাচীনকালে এই জলপ্রপাতের স্থানে একটি রাজার প্রাসাদ ছিল। প্রাসাদ সংলগ্ন সরোবরে রাজকুমারী স্নান করে সোনার পাত্রে দুধ পান করতেন। একদিন স্নানরতা নগ্না রাজকুমারীকে এক রাজকুমার গাছের আড়াল থেকে লুকিয়ে দেখতে থাকলে রাজকুমারী ব্যাপারটি বুঝতে পেরে, সোনার পাত্রে রাখা দুধ নিজের উপর ঢেলে লজ্জা ঢাকলেন। কথিত আছে সেই দুধের স্রোত থেকে এই জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়েছে।
এই জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট এর জলধারার স্বচ্ছতা। পাহাড়ি নদীর জল পাথরের উপর দিয়ে বসে আসার ফলে এর জল কর্দমাক্ত নয়, কিন্তু বারংবার পাথরে ধাক্কা খাবার ফলে ফেনিল। দেখে মনে হয় সত্যি যেন রাশি রাশি দুধ পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ছে। সেই অর্থে এই নামকরণ যথার্থ।
দুধসাগর যাবার জন্য অনেক উপায় আছে। পুনে বা বেলগাঁও থেকে প্রতি শনিবার/রবিবার পূর্না এক্সপ্রেস এ যাওয়া যেতে পারে। এই ট্রেনটি রাত্রে পুনে থেকে ছাড়ে, ৭-৩০ এ বেলগাঁও ছাড়ে, সকাল ১১টা নাগাদ দুধসাগর পৌছায়। দুধ্সাগর এ কোনো স্টেশন না থাকলেও সেখানে ভ্রমনপিপাসুদের জন্য ট্রেন টি থামে। আবার বিকাল ৫টা নাগাদ গোআ এক্সপ্রেস দুধ্সাগর এর যাত্রী দের নেবার জন্য এখানে থামে। কাললেম অবধি রিটার্ন কাটতে হয়, যদি রিটার্ন টিকেট কাটা না হয় তাহলে দুধ্সাগর হল্ট এ রেলওয়ে স্টাফ টিকেট করে দেয়। যারা ট্রেকিং করতে ভালবাসেন তারা কাস্তারেক স্টেশন এ নেমে রেলওয়ে ট্রাক ধরে ট্রেকিং করে দুধসাগরে পৌছাতে পারেন। দুরত্ব ১৪ কিলোমিটার। পৌছাতে ৫-৬ ঘন্টা লাগে। কুলেম স্টেশন থেকেও ট্রেকিং করে ১১ কিমি যেতে হয়, সময় লাগে ৪-৫ ঘন্টা , কুলেম এ ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে ট্যাক্সি নিয়ে যাওয়া যায়, ট্যাক্সি দুধসাগরের ১ কিলোমিটার দুরে নামিয়ে দেয়, সেখান থেকে হেঁটে যেতে হয়। দুধসাগরে খাবার বা জল পাওয়া যায়না, তাই খাবার বা জল নিজেকে নিয়ে যেতে হয়।
দুধসাগর পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত জলপ্রপাতের মধ্যে একটি। এটি কর্ণাটক গোয়া সীমানায় অবস্থিত! উচ্চতায় এটি ভারতবর্ষের পঞ্চম ! প্রায় ৩০ মিটার প্রস্থের সমগ্র মান্দভি নদী ৩১০ মিটার উচ্চতা থেকে বিশাল জলরাশি নিয়ে এই জলপ্রপাতের সৃষ্টি করেছে। এই জলপ্রপাত দেখার উপযুক্ত সময় হলো বর্ষাকাল। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর।
এই জলপ্রপাতটি নিয়ে স্থানীয় একটি কল্পকথা প্রচলিত আছে, প্রাচীনকালে এই জলপ্রপাতের স্থানে একটি রাজার প্রাসাদ ছিল। প্রাসাদ সংলগ্ন সরোবরে রাজকুমারী স্নান করে সোনার পাত্রে দুধ পান করতেন। একদিন স্নানরতা নগ্না রাজকুমারীকে এক রাজকুমার গাছের আড়াল থেকে লুকিয়ে দেখতে থাকলে রাজকুমারী ব্যাপারটি বুঝতে পেরে, সোনার পাত্রে রাখা দুধ নিজের উপর ঢেলে লজ্জা ঢাকলেন। কথিত আছে সেই দুধের স্রোত থেকে এই জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়েছে।
এই জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট এর জলধারার স্বচ্ছতা। পাহাড়ি নদীর জল পাথরের উপর দিয়ে বসে আসার ফলে এর জল কর্দমাক্ত নয়, কিন্তু বারংবার পাথরে ধাক্কা খাবার ফলে ফেনিল। দেখে মনে হয় সত্যি যেন রাশি রাশি দুধ পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ছে। সেই অর্থে এই নামকরণ যথার্থ।
দুধসাগর যাবার জন্য অনেক উপায় আছে। পুনে বা বেলগাঁও থেকে প্রতি শনিবার/রবিবার পূর্না এক্সপ্রেস এ যাওয়া যেতে পারে। এই ট্রেনটি রাত্রে পুনে থেকে ছাড়ে, ৭-৩০ এ বেলগাঁও ছাড়ে, সকাল ১১টা নাগাদ দুধসাগর পৌছায়। দুধ্সাগর এ কোনো স্টেশন না থাকলেও সেখানে ভ্রমনপিপাসুদের জন্য ট্রেন টি থামে। আবার বিকাল ৫টা নাগাদ গোআ এক্সপ্রেস দুধ্সাগর এর যাত্রী দের নেবার জন্য এখানে থামে। কাললেম অবধি রিটার্ন কাটতে হয়, যদি রিটার্ন টিকেট কাটা না হয় তাহলে দুধ্সাগর হল্ট এ রেলওয়ে স্টাফ টিকেট করে দেয়। যারা ট্রেকিং করতে ভালবাসেন তারা কাস্তারেক স্টেশন এ নেমে রেলওয়ে ট্রাক ধরে ট্রেকিং করে দুধসাগরে পৌছাতে পারেন। দুরত্ব ১৪ কিলোমিটার। পৌছাতে ৫-৬ ঘন্টা লাগে। কুলেম স্টেশন থেকেও ট্রেকিং করে ১১ কিমি যেতে হয়, সময় লাগে ৪-৫ ঘন্টা , কুলেম এ ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে ট্যাক্সি নিয়ে যাওয়া যায়, ট্যাক্সি দুধসাগরের ১ কিলোমিটার দুরে নামিয়ে দেয়, সেখান থেকে হেঁটে যেতে হয়। দুধসাগরে খাবার বা জল পাওয়া যায়না, তাই খাবার বা জল নিজেকে নিয়ে যেতে হয়।
1 কমেন্টস্:
দুধসাগরের ছবি দেখতে এখানে ক্লিক করুন ! https://www.facebook.com/media/set/?set=a.10150340006805610.394370.591310609&type=3
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন